স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলতি বছরও ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একজন ঋণগ্রহীতা যে পরিমাণ কিস্তি পরিশোধ করার কথা, তার আংশিক দিয়েও নিয়মিত থাকার সুযোগ পাচ্ছেন। এখন ব্যাংকগুলোকে এ রকম সুবিধা পাওয়া পুরো ঋণের বিপরীতে সুদ আয় খাতে স্থানান্তরের সুযোগ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবশ্য সুবিধা পাওয়া সিএমএসএমই ঋণের বিপরীতে ১ শতাংশ এবং অন্য ক্ষেত্রে ২ শতাংশ সাধারণ সঞ্চিতি বা জেনারেল প্রভিশন হিসেবে আলাদা রাখতে হবে।
গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালে ১ টাকা পরিশোধ না করেও ঋণ নিয়মিত রাখার সুযোগ ছিল। আর ২০২১ সালে যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা, তার ১৫ শতাংশ দিলে আর খেলাপি হয়নি। চলতি বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ-সংক্রান্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এবারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৃহৎ শিল্পের মেয়াদি ঋণে প্রদেয় কিস্তির ৫০ শতাংশ জুনে, সেপ্টেম্বরে ৬০ এবং ডিসেম্বরে ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হবে না। সিএমএসএমই ও কৃষি খাতে জুন প্রান্তিকে প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৩০ এবং ডিসেম্বরে ৪০ শতাংশ পরিশোধ করলে নিয়মিত থাকবে।
গতকালের সার্কুলারে বলা হয়েছে, সুবিধা পাওয়া ঋণের সম্ভাব্য আদায় ঝুঁকি বিশ্নেষণ করে ২০২২ সালে আরোপিত সুদ বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে। তবে ২০১৯ সালে ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে বিশেষ সুবিধায় পুনঃতপশিল এবং ২০১৫ সালে পুনর্গঠন করা ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ নগদ আদায় ছাড়া আয় দেখানো যাবে না। আর সুবিধা পাওয়া ঋণে অতিরিক্ত ২ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন রাখতে হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম///