২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পরও তিন বছর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে এই সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। এরপর, অর্থাৎ ২০২৭ সালের পর বাংলাদেশ আর ওই সুবিধা পাবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আজ রবিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ষষ্ঠ ইইউ বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ সংলাপ’ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী আশা করেন, ইইউ ওই সময় জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে বাংলাদেশকে। শুল্কমুক্ত সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইইউ কোনো কোনো দেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দিয়ে আসছে, যে সুবিধা শুল্কমুক্ত সুবিধার প্রায় কাছাকাছি।
ওই সংলাপে বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীনসহ বাংলাদেশ থেকে ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। ওই দিক থেকে ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্কের নেতৃত্বে অংশ নেন জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ইতালির রাষ্ট্রদূতসহ ৪১ প্রতিনিধি।
ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য ২০১৬ সালে উভয় পক্ষের প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এবারেরটি ষষ্ঠ। আলোচনার মাধ্যমে এরই মধ্যে অনেক সমস্যার সমাধানও হয়েছে, যাতে উভয় পক্ষই উপকৃত হয়েছে। শুল্ক, কর, ওষুধ, অর্থপ্রবাহ ও বিনিয়োগ—এ পাঁচ বিষয়ে কাজ করতে গঠন করা হয়েছে পাঁচটি কার্যদল।
ইইউ বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার ও রপ্তানি গন্তব্যস্থল। অস্ত্র ছাড়া সবকিছু (ইবিএ) প্রকল্পের আওতায় ইইউর দেওয়া বাণিজ্যসুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। ইইউর কাছে এ জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। এসব কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশগুলোয় ২ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৫৮ শতাংশ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বেড়েছে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সূচকে আট ধাপ এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/