ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদের অর্থের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য তাঁর পুনঃ নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার ব্যাংকটিতে চিঠি দিয়ে এমডির পুনঃ নিয়োগ নাকচের বিষয়টি জানিয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্তে তার হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন, কর ফাঁকি ও সঞ্চয়পত্রে সীমার বেশি বিনিয়োগ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম উঠে আসে। এর প্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু করে দুদক।
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান নূরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন,‘পর্ষদ এমডিকে পুনর্নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে সম্মতি দেয়নি। উনার মেয়াদও ইতিমধ্যে শেষ হয়ে এসেছে।’
বিএফআইইউয়ের বিশেষ পরিদর্শনে বেরিয়ে আসে, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে বিভিন্ন সময় প্রায় ৩৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়। সে জন্য মোসলেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে আদালতের আদেশের কারণে এগোতে পারেনি। এ অবস্থায় ব্যাংকটি নতুন করে মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে এমডি পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়ার আবেদন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা নাকচ করে দেয়। এরপর ব্যাংকটি তাঁকে নিয়োগ দিতে আবারও আবেদন করেছে। এরপর গত সোমবার কেন্দ্রিয় ব্যাংক তা নাকচ করে দেয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, যেহেতু দুদক বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে,তাই তাকে পুনঃনিয়োগ দেওয়া শেষ হয় নি। দুদকের তদন্তে তাঁর কোন দুর্নীতি ধরা না পড়লে তিনি আবার ব্যাংকে ফিরতে পারবেন। তখন আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না।
এনসিসি ব্যাংক কি দুদকের তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এ নিয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নূরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, অবশ্যই না। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ নতুন এমডি খোঁজা শুরু করেছে। চলতি দায়িত্ব হিসেবে ডিএমডি খন্দকার নাইমুল কবিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ নিয়ে দুদকের তদন্ত চলছে। এ কারণে পুনঃনিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তদন্তে নির্দোষ প্রমাণ হলে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। সূত্র : প্রথম আলো
স্টকমার্কেটবিডি.কম/