বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে কিছু কিছু দেশ বাংলাদেশ থেকে তাদের ক্রয় আদেশ বাতিল করতে চাচ্ছে। করোনার জন্য তারা খুব বড় রকমের বিধিনিষেধ দিতে যাচ্ছে। এজন্য কেউ কেউ ক্রয়াদেশ বাতিল করতে চাচ্ছে। তবে আমাদের দেশের কোনো গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। গার্মেন্টস কর্মীদের সচেতন করা হচ্ছে। এর কিছুটা প্রভাব আমাদের অর্থনীতি ও আমদানির ওপর পড়বে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও হটলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে সকালেই আমি খবর পেলাম, ইতালি কিছু ক্রয় আদেশ বাতিল করতে চেয়েছে। বড় সমস্যা হচ্ছে, সঠিক সময়ে মাল না পাওয়ার কারণে আল্টিমেট ফাইনাল সেলার্স যারা, তারা ক্রয় আদেশ বাতিল করতে চাচ্ছে অথবা প্লেনে করে পাঠাতে বলছে।
তিনি বলেন, যেখান থেকে কাঁচামাল আনা হয় সেখানে আমরা গতি কম দেখছি। সুখের বিষয় হলো চীনে শ্রমিকরা আবার কারখানায় ফিরেছেন। তারা আবার নতুন করে শুরু করেছে। আরেকটা সমস্যা আমাদের নজরে এসেছে। কিছু কিছু দেশ তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করতে চাচ্ছে অথবা অন্যকোনো খানে দিয়ে দিচ্ছে। ফলে আমার মনে হয় সেখানে আমাদের কিছুটা সমস্যা হবে।
তিনি আরো বলেন, আশার কথা হলো চীনে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের কিছুটা উন্নিত হয়েছে। নতুন করে ইউরোপে গেছে। যে উহানে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছিল সেখানে অনেকটা নরমাল হয়ে গেছে। তাদের ৯০ শতাংশ লোক কাজে ফিরেছে। এ ছাড়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পণ্য রপ্তানি শুরু করেছে আমাদের দেশে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান তপন কান্তি ঘোষ, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য শেখ কবির হোসেনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/