স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
কমিশন শেয়ারবাজার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারীতেও সূচক সাত হাজারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এছাড়া বিএসইসি বর্তমানে বিভিন্ন গ্রিন প্রজেক্টে অর্থায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে জুম প্লাটফর্মে সম্প্রতি তিন দিনব্যাপী ‘প্রিপেয়ারিং আ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট’ শীর্ষক টেকনিক্যাল সিরিজের দ্বিতীয় ব্যাচের কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।
এতে আরো অংশ নেন জিআরআই দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক ড. অদিতি হালদার, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া, ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল-আমিন রহমান, মাহিন্দ্রা গ্রুপের চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার অনির্বাণ ঘোষ।
মো. আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, সাসটেইনেবিলিটি অর্থনৈতিক সেক্টরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিষয়টিকে মাথায় রেখে সরকারি পর্যায় থেকে বিভিন্ন আইনকানুন তৈরি করা হয়েছে। আর সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিংয়ের মানদণ্ডগুলো পরিপালনের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো উপকৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করেছে। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
মাহিন্দ্রা গ্রুপের চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার অনির্বাণ ঘোষ জিআরআই সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিংয়ের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন এবং এতে কীভাবে মাহিন্দ্রা গ্রুপ তথা ভারত লাভবান হচ্ছে, সে বিষয়েও আলোকপাত করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির সিনিয়র অফিশিয়াল যাতে জিআরআইয়ের গবেষণালব্ধ উপকরণগুলোর যথাযথ ব্যবহার করে কোম্পানির সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশ করে, সে বিষয়ে তিনি আহ্বান জানান।
বক্তারা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিংয়ের গুরুত্ব ও সুবিধাগুলো তুলে ধরেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে উপস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় অচিরেই জিআরআইয়ের মানদণ্ড অনুযায়ী সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশে সক্ষম হবে। টেকনিক্যাল সিরিজের ওয়ার্কশপ শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, ডিএসই ও জিআরআই ২০১৮ সাল থেকে একসঙ্গে পথচলা শুরু করে। যেহেতু আমাদের সম্পদ সীমিত, এই সীমিত সম্পদ কাজে লাগিয়ে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন করা যায়, এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। জিআরআই ও ডিএসইর যৌথ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উন্নয়ন আরো টেকসই করতে হবে। ফলে পুঁজিবাজার ও দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে কোম্পানিগুলো যাতে জিআরআইয়ের মানদণ্ড অনুযায়ী সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে, এজন্য তিনি তালিকাভুক্ত এবং একই সঙ্গে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল-আমিন রহমান জানান, ২০১৯ সালে এ বিষয়ক প্রথম কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল, যাতে ৪১টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫০ জন সিনিয়র কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন এবং অধিকাংশই তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। এবার ৪২টি কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মশালায় যুক্ত হয়েছেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস
লংকা বাংলা ফাইন্যান্সে