স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য ১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে পাট পুরস্কার দিয়েছে সরকার। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল রোববার জাতীয় পাট দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম জাকির হোসেন, কুষ্টিয়ার চাষি সাহানুর আলম, পাবনার চাষি মো. আ. রাজ্জাক প্রাং, নীলফামারীর রানু অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকার রাজ্জাক জুট ইন্ডাস্ট্রিজ, আকিজ জুট মিলস, করিম জুট স্পিনার্স, জনতা জুট মিলস, ঢাকার ব্যবসায়ী তৌহিদ বিন আব্দুস সালাম, কোহিনুর ইয়াছমিন ও সাভারের মো. আব্দুল হাকিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। পাটের সম্ভাবনার সঙ্গে শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে বছরে পাট ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় শিগগিরই ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পাটবীজে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। ইতিমধ্যে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাটের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। এখন কৃষকদের মধ্যে এটিকে জনপ্রিয় করার কাজ চলছে। আমরা আশা করছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। তখন ভারত থেকে পাটবীজ আর আমদানি করতে হবে না।’
বস্ত্র ও পাটসচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান। এ ছাড়া পাট উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যবসায়ী পাটশিল্পের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড