স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
গত ডিসেম্বরে আরও খানিকটা কমেছে মূল্যস্ফীতির হার। মাসটিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এটি আগের মাস নভেম্বরের চেয়ে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। এ নিয়ে টানা চার মাস কমলো মূল্যস্ফীতি। ডিসেম্বরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই আগের মাসের তুলনায় সামান্য কমেছে মূল্যস্ফীতি। কমেছে গ্রাম ও শহর দুই জায়গাতেই। তবে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে গড় মূল্যস্ফীতির হার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভোক্তা মূল্যসূচক ও মজুরি হার সূচক সম্পর্কিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিবিএস।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমে আসা এবং আমনের ভালো ফলনের কারণে দেশে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। তবে এখনও তা উচ্চ পর্যায়েই রয়েছে।
৫ শতাংশের কম মূল্যস্ম্ফীতিকে মোটামুটি সহনীয় পর্যায় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদের কেউ কেউ। আবার কারও কারও মতে, গ্রহণযোগ্য মাত্রাটি আরও অনেক কম। সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির জন্য মূল্যস্ফীতি এক থেকে দুই শতাংশের মধ্যে থাকাই ভালো।
বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বাবদ মানুষের খরচের হিসাবের ভিত্তিতে প্রতিমাসের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) তৈরি করে থাকে বিবিএস। কোনো নির্দিষ্ট মাসে এই মূল্যসূচক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কতটুকু বাড়ল তার শতকরা হারই পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ম্ফীতি।
বিবিএসের তথ্য মতে, গত নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয় ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর আগে তা অক্টোবরে ৮ দশমিক ৯১, সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১০, আগস্টে ৯ দশমিক ৫২ এবং জুলাইয়ে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ ছিল।
ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ম্ফীতি খানিকটা কমলেও সদ্য সমাপ্ত বছরে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ২০২২ সালে গড় মূল্যস্ম্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম///