স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
পরপর দুই মাস মানুষের আয় বৃদ্ধির চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি দেশে। ফলে দেশের মানুষের গড় মজুরি যে হারে বাড়ছে, তার চেয়ে বেশি হারে জিনিসের দাম বাড়ছে। তাই বাড়তি আয় দিয়ে আগের মতো জিনিসপত্র কেনা সম্ভব হচ্ছে না সাধারণ মানুষের।
সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতি ও মজুরির হালনাগাদ তথ্যে এসব চিত্র পাওয়া গেছে। গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ২২। অন্যদিকে ওই মাসে মজুরি বৃদ্ধির পেয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ হারে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও একই চিত্র ছিল। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৩।
এতে বোঝা যায়, দৈনিক আয়ের মানুষ বাড়তি আয় দিয়ে বাজার থেকে আগের মতো পণ্য ও সেবা কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, মজুরি বা বেতনভাতা বাড়লেও তা মূল্যস্ফীতি খেয়ে ফেলছে। প্রকৃত মজুরি বাড়ছে না। এ কারণে মানুষের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।
মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার কম—এ ধরনের ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার কম ছিল। তখন করোনার প্রভাবে বহু মানুষ বেকার ছিল, অনেকের আয় কমে গিয়েছিল।
১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি
বিবিএসের সর্বশেষ হিসাব বলছে, গত ১৭ মাসের মধ্যে গত মার্চেই দেশে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশে। আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে জিনিসের দাম বাড়ার কারণে কয়েক মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। পরপর দুই মাস ধরেই ৬ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে। অন্যদিকে করোনার কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের বহু মানুষের আয় আগের পর্যায়ে নেই। বরং আয় কমেছে। তাতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ বেড়েছে।
বিবিএসের হিসাবে, গত মার্চ মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে এই হার ৬ দশমিক শূন্য ৪। গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি। মার্চ মাসে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর গ্রামে এই হার ৫ দশমিক ৫৯।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/