স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
আবারো সংকোচনমূলক পদক্ষেপ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের মুদ্রানীতি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবারও মূল লক্ষ্য হবে, নীতি সুদের হার বাড়ানো ও টাকার সরবরাহ কমানো, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এতো দিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হলেও প্রথমবারের মত প্রকাশ করা হবে শুধু ওয়েবসাইটে।
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশের ওপরে। শুধু জুনেই খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪২ ভাগ। লাগাম টানতে ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়ানো হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট ও নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক খাত, এমন পরিস্থিতিতে জুলাই-ডিসেম্বরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বর্তমানে নির্ধারিত নীতি সুদহার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে তা ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়তে পারে। পাশাপাশি ডলারের দাম বেড়ে ১১৮ টাকায় উঠেছে। এরপরও মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী থামানো যাচ্ছে না। এ জন্য নীতি সুদহার আরও বাড়ানো হতে পারে। পাশাপাশি নেওয়া হতে পারে নতুন উদ্যোগ।
তবে ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করে ঋণের সুদহার কমাতে না পারলে মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারা।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরি পলিসি দিয়ে কি আমরা সব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো? আমাদের সে নিয়ন্ত্রণ এখন আর নাই এখানে একটা শক্তিশালী অংশ কাজ করছে। তারা ব্যবসা, রাজনীতি করেন এছাড়া তারা মানি বা ব্যাংকিং সিস্টেমকেও নিয়ন্ত্রণ করেন। এখানে ওই সুশাসনটা ফিরিয়ে আনতে না পারলে সাধারণ জনগণের খুব বেশি কাজে আসবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক গত মে মাসে সুদহার ঠিক করার বিষয়টি বাজারের ওপর দিয়েছে। একই সঙ্গে ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে। এতে এক লাফে সাত টাকা বেড়ে ডলারের দর পৌঁছে ১১৭ টাকায়, যেটিকে নতুন পদ্ধতিতে ‘মধ্যবর্তী দর’ বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসময়ে বাড়ানো হয় নীতি সুদহারও।
মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে গত জানুয়ারিতে সতর্ক ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি