বেঁধে দেয়া সময়ে নবায়ন ফি জমা না দেয়ায় শেয়ারবাজারে ৭০ হাজার বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) এ্যাকাউন্ট (হিসাব) বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ তালিকায় বিভিন্ন কোম্পানির ৬১টি এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের (এনআরবি) ২ হাজার ৮৫১টি হিসাব রয়েছে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের সুপারিশে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিও নবায়নের শেষ সময় ছিল ৩০ জুন। তবে ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের ২৫ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। এরপরই হাউসগুলো থেকে বিও হিসাব বন্ধের তালিকা পাঠানো শুরু হয়। আর সর্বশেষ হিসাবে দেশের শেয়ারবাজারে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ৪৮ হাজার। সিডিবিএল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের স্বচ্ছতায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।
আর ২৫ জুনের আগে শেয়ারবাজারে মোট বিও এ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৩২ লাখ ১৮ হাজার। বর্তমানে তা ৩১ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৪টি নেমে এসেছে। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারী ২৯ লাখ ৮১ হাজার ৭১৬টি, প্রবাসী বাংলাদেশীদের ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫২টি এবং বিভিন্ন কোম্পানি ১০ হাজার ৭৬৬টি।
সূত্র জানায়, বর্তমানে বিও এ্যাকাউন্ট নবায়ন করতে ৫০০ টাকা লাগে। এর মধ্যে সিডিবিএল ১৫০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) ৫০ টাকা এবং বিএসইসির মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়। আর এ খাত থেকে গত বছর সরকারকে ৮১ কোটি টাকা দিয়েছিল বিএসইসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিডিবিএলের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ব্রোকারেজ হাউস থেকে বন্ধের তালিকা পাঠানো হয়। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এখানে সিডিবিএলের খুব বেশি কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেন, যেসব বিও হিসাবে শেয়ার রয়েছে সেসব হিসাবের ট্রেড সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিও নবায়ন ফি জমা দিলেই হিসাবধারী ট্রেড করতে পারবেন। এজন্য তাকে কোন জরিমানা দিতে হবে না। আর যেসব হিসাবে কোন শেয়ার নেই সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে এই ফি সিডিবিএলে জমা দিতে হয়। এ বছর ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের ২৫ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। এরপরই নবায়ন ফি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করা শুরু হয়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে