পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এক শতাংশ ইকোট্যাক্স আরোপের সুপারিশ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এ বিষয়ে কমিটির পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৩৩তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ড. হাসান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান।
ড.হাছান মাহমুদ বলেন,‘কমিটি দূষণকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে এক শতাংশ ইকোট্যাক্স আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হবে।’
দূষণের দায়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ট্যাক্স আরোপ হবে, তা অর্থ মন্ত্রণালয় ঠিক করে দেবে বলে তিনি জানান। কমিটি ইতোমধ্যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান ও দূষণ সৃষ্টিকারী গাড়িকে চিহ্নিত করেছে।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, ‘নির্দিষ্ট মাইক্রনের পলিথিনের শপিং ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও পলিথিনের মোড়ক ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্যে এসব মোড়ক ব্যবহার করছে। কিন্তু এই পলিথিন পরিবেশকে দূষিত করছে।’ ড.হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পলিথিন রিসাইকেল না হলে তা পচতে কমপক্ষে এক’শ বছর সময় লাগে।’
ইকোট্যাক্স আরোপ করলে পলিথিনের মোড়ক ব্যবহারের প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।
প্রতিষ্ঠানগুলো এই ট্যাক্স জনগণের ওপর চাপিয়ে দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো কোনোভাবেই জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সমীচীন হবে না। তারা লাভের অংশ থেকে এই ট্যাক্স দেবেন।’
দূষণকারী গাড়ির ওপর রোড ট্যাক্স আদায়কালে এই ইকোট্যাক্স আদায় করা যেতে পারে।আদায় করা এই ট্যাক্সের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও এটা অহরহ ব্যবহৃত হচ্ছে।আমরা মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়েছি, এগুলো সঠিকভাবে মনিটর করতে।’
এদিকে সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল আগামী মাসে বন্যাকবলিত হাওর ও সিলেটে অবৈধ পাথর উত্তোলনের এলাকা পরিদর্শনে যাবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে আগামী অর্থবছরে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
আজ বুধবার সংসদ ভবনে হাছান মাহমুদরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, কমিটির সদস্য নবী নেওয়াজ, মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান এবং মেরিনা রহমান অংশগ্রহণ করেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/