দীর্ঘদিন ধরে ফেসভ্যালুর (অবহিত দর) নিচে পড়ে থাকা বস্ত্র খাতের পাঁচ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। কোম্পানিগুলো হচ্ছে: ফ্যামিলি টেক্স, ঢাকা ডায়িং, দুলামিয়া কটন, মেট্রো স্পিনিং ও ম্যাকসন্স স্পিনিং। এদের মধ্যে ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত ফ্যামিলি টেক্স ছাড়া বাকি চারটিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত সপ্তাহে বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় যাদের কাছে দুর্বল বা ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার রয়েছে, তারা ভেবেছিলেন এসব শেয়ারের দরও বাড়বে। কিন্তু সেটি হয়নি। ফলে বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
দায়দেনায় ভরপুর এসব কোম্পানির মধ্যে এক বছরের ব্যবধানে ঢাকা ডায়িংয়ের লোকসান হয়েছে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লোকসান হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার চাহিদা কমে গেছে। ফলে কমে গেছে শেয়ারদরও। বর্তমানে এ শেয়ার আট টাকা থেকে আট টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছয় টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়।
ম্যাকসন স্পিনিং আগের বছরের তুলনায় প্রায় তিন কোটি টাকা মুনাফা করলেও শেয়ার চাহিদায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মুনাফা করেছে আট কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছে ৯ টাকার নিচে।
এদিকে এক বছরের ব্যবধানে মেট্রো স্পিনিংয়ের মুনাফা অর্ধেকে নেমে আসায় এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে আগ্রহ নেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। ২০১৬ সালে এ প্রতিষ্ঠাটির মুনাফা হয় এক কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শেয়ার আট টাকার নিচে লেনদেন হচ্ছে। গত এক বছরের মধ্যে এ শেয়ার সর্বনিম্ন ছয় টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়।
আর্থিক বিবেচনায় অন্য কোম্পানি দুলামিয়া কটনের মুনাফাও আগের বছরের চেয়ে অনেক কমে গেছে। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয় দুই কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের বছর লোকসানের পরিমাণ ছিল এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটি লোকসানে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এর প্রভাব পড়েছে শেয়ারদরে। বর্তমানে এ শেয়ার লেনদেন হচ্ছে আট টাকায়।
এ তালিকায় ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা একমাত্র কোম্পানি ফ্যামিলি টেক্সের শেয়ারের চাহিদাও আগের মতো নেই। এসব কোম্পানির মধ্যে ফ্যামিলি টেক্স ছাড়া বাকিগুলোর অবস্থান জেড ক্যাটাগরিতে। সর্বশেষ পাঁচ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে এসেছে কোম্পানিটি। পারিবারিক কলহের জেরে এ কোম্পানির মুনাফায় ভাটা পড়েছে। কোম্পানিটি সর্বশেষ মুনাফা করে ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা । অথচ এর আগের বছর মুনাফা ছিল ৯১ কোটি টাকা। বর্তমানে এর শেয়ার ১০ টাকার নিচে লেনদেন হচ্ছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ