টানা দুই কার্যদিবস ধরে সূচকের ব্যাপক পতনে রয়েছে শেয়ারবাজার। আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের ৬১ পয়েন্ট পতনে চলতি বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে সূচক (৫৩৭২ পয়েন্ট)। এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ডিএসইতে সূচক ছিলো ৫৩৫০ পয়েন্ট। শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনে দৈনিক লেনদেন এবং বাজার মূলধনেরও পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। আর এই অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে আবারো রাস্তায় নেমে এসেছেন বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার দুপুর দেড়টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বাজার স্থিতিশীলতায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। যেসব শেয়ারের দর ইস্যুমূল্যের নিচে নেমে গেছে সেগুলো অনতিবিলম্বে বাইব্যাক করার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
বিনিয়োগকারীরা জানান, অর্থমন্ত্রী বলেছেন এই বাজার কতো নামতে সেটা উনি দেখতে চান। কিন্তু বাজারে আমাদের ইনভেস্ট কমতে কমতে একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা ভুক্তভোগি বিনিয়োগকারীরা এখনো এই বাজারে টিকে আছি শুধু একটি আশায়, বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ক’দিন ঘুড়ে দাঁড়ায় আবার ক’দিন পর যেই লাউ সেই কদু হয়ে যায়। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে এমন ট্রাপে পড়ে আছেন যে এর থেকে বের হতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
বিক্ষোভ চলাকালে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বলেন, অনতিবিলম্বে বাজারকে স্থিতিশীল করার সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ইস্যুমূল্যের নিচে নেমে এসেছে সেগুলোকে বাইব্যাক করাতে হবে। আইসিবি,লংকাবাংলার মতো বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ডে-ট্রেডারের ভূমিকায় রয়েছেন। মার্কেট মেকারের দায়িত্ব কেউই পালন করছে না। এভাবে চলতে থাকতে বিনিয়োগকারীরা পথে বসে যাবে। শেয়ারবাজার ঠিক না থাকলে দেশের অর্থনীতিও ভালো থাকে না। তাই এই বাজারকে গতিশীল করতে সরকারের এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড