স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সুরক্ষার জন্য কিছু সুবিধা পেলেও বেশিরভাগই পাননি বলে জানিয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবনায় আমাদের পক্ষ থেকে ৬৩টি প্রস্তাব দেয়া হলেও ১৪টি গৃহীত হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে আবারও বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’
রবিবার (২০ জুন) ‘বাজেট ২০২১-২২: এসএমই খাতের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. মফিজুর রহমান।
ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে আমাদের চাওয়ার সবগুলো পাইনি, আবার অনেককিছু দেয়ায়ও হয়েছে। তবে বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা যেভাবে পেয়েছেন সেভাবে আমরা পাইনি। গত কয়েকটি বাজেটে এসএমইকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি আরও গুরুত্ব পাবে। আমরা আগামীকাল সোমবারের মধ্যেই না পাওয়া অনেক প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। হয়তো সেখান থেকে আরও কিছু প্রস্তাব গৃহীত হবে।’
সংস্থাটির এমডি ড. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এর আগে আমাদের জিডিপির বেশিরভাগটা আসতো কৃষি থেকে। তখন কৃষি কেন্দ্রীক বাজেট হতো। এখন শিল্প ও প্রবাসী থেকে জিডিপির সিংহভাগ আসে। তারপরও এবারের বাজেটে কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে করোনার কারণে এ এসএমই খাত অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল, যার প্রতিফলন বাজেটে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের এসএমই সংশ্লিষ্ট ১৫টি অ্যাসোসিয়েশন ও বাণিজ্য সংগঠন থেকে ১০০টি প্রস্তাবনা আসে। পরবর্তীতে সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ৬৩টি প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়। যেখানে কাস্টমস বিষয়ে ৩১টি, মূসক ১১টি এবং আয়কর সংশ্লিষ্ট ২১টি প্রস্তাব। যেগুলো গত ১১ মার্চ এনবিআরের (রাজস্ব বোর্ড) নিকট দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে ১৪টি প্রস্তাবকে গ্রহণ করা হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ