শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাবের বার্ষিক ব্যবস্থাপনা ফি বা মাশুল কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক ও বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের মালিকেরা। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার ও বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলের কাছে এ আহ্বান জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে সিডিবিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গতকাল বুধবার ডিএসইর নেতাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই মাশুল কমানোসহ সিডিবিএল-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে মাশুল কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিডিবিএলের পক্ষ থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এসময় ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউসগুলো শেয়ার লেনদেনের জন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে যে মাশুল নেয় তার বড় অংশই সিডিবিএলের মাশুল পরিশোধে চলে যাচ্ছে। এতে করে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সক্ষমতা কমছে। এখন সিডিবিএলের মাশুল কমানো না হলে ব্রোকারেজ হাউসের দিক থেকে মাশুল বাড়াতে হবে। তাতে কিন্তু বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বর্তমানে বিও হিসাবের বার্ষিক নবায়ন বা ব্যবস্থাপনার জন্য ৫০০ টাকা মাশুল নেওয়া হয়। এর মধ্যে সিডিবিএল নেয় ১৫০ টাকা, অংশীদারি প্রতিষ্ঠান বা ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্ট নেয় ১০০ টাকা, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নেয় ৫০ টাকা। বাকি ২০০ টাকা জমা হয় সরকারের কোষাগারে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএজে