তামাকজাত পণ্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিজ্ঞাপনে শতভাগ আইন লঙ্ঘন হচ্ছে বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল ) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে তামাকজাত পণ্য বিষয়ে পরিচালিত একটি জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে একথা জানানো হয়।
‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।
জরিপের ফলাফলে জানানো হয়,
১. দেশের কোনো তামাকপণ্যের দোকানেই শতভাগ আইন মানা হয় না।
২. ৬৬ শতাংশ দোকানে তামাকপণ্যের বিজ্ঞাপন দেখা না গেলেও, প্রোডাক্ট ডিসপ্লে হিসেবে সব দোকানেই তামাকপণ্যের খালি প্যাকেট সাজিয়ে রাখা হয়।
৩. ১৮ শতাংশ দোকানে তামাকপণ্যের স্টিকার, ১৪ শতাংশ দোকানে পোস্টার, ৮ শতাংশ দোকানে ব্র্যান্ড মার্কিং, ১ শতাংশ দোকানে ব্যানার দেখা যায়।
৪. বিভিন্ন দোকানে তামাকপণ্যের ব্র্যান্ড এবং লোগো সম্বলিত ডিসকাউন্ট কুপন, উপহারসামগ্রী, দোকানির টি-শার্ট ব্যবহার করা হয়, যা তামাকপণ্যের পরোক্ষ বিজ্ঞাপন।
৫. অনেক দোকানে এখানে ন্যায্য মূল্যে সিগারেট পাওয়া যায়- এমন স্টিকার লাগানো থাকে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেটের দামও লেখা থাকে। এগুলোও এক ধরনের বিজ্ঞাপন, যা আইনে নিষিদ্ধ।
জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন ডা. আহমেদ খায়রুল আবরার। সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের এপিডেমিওলজি এ্যান্ড রিসার্চের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল আহমেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর উপ সচিব খন্দকার জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির যুগ্ম সচিব অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক সচিব রুহুল কুদ্দুসসহ আরো অনেকে।
জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আইনে তামাকপণ্যের সবধরনের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও দোকানিরা কোম্পানিগুলোর ফাঁদে পড়ে বুঝে অথবা না বুঝেই এসবের বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। তাই তামাকপণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে কঠোর আইনের প্রয়োগ এবং আইন লঙ্ঘনের জন্যে দোকানিদের পাশাপাশি কোম্পানিগুলোকেও শাস্তির আওতায় আনতে বর্তমান আইনের সংশোধন প্রয়োজন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি