চলতি মাসে মার্কিন ডলারের পতনের গতি আরও খানিকটা বেড়েছে। কারণ হলো, বিনিয়োগকারীরা সুদের হারের বিষয়ে তাদের প্রত্যাশা কমিয়েছে।
সিএনএন জানায়, গত সেপ্টেম্বরে ডলারের দাম দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল। এর পেছনে মূল কারণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়ানোর পদক্ষেপ। কিন্তু এরপর এল মন্দার আশঙ্কা, তিনটি আঞ্চলিক ব্যাংকের পতন এবং কংগ্রেস সদস্যদের বাক্যুদ্ধ ও সরকারের ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ।
তবে এখন যখন মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী, ফেডারেল রিজার্ভ তখন সুদের হার বাড়ানোর ধারা থেকে বেরিয়ে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ইউএস ডলার ইনডেক্স গত এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে। ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, সুইস ফ্রাঁ, জাপানের ইয়েন, কানাডিয়ান ডলার ও সুইডেনের ক্রোনার বিপরীতে ডলার ইনডেক্স ঠিক করা হয়।
গত বুধবার ফেড তার নীতি সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে যে এই বছরের আরও পরের দিকে আরও একবার সুদের হার বাড়ানো হবে। কিন্তু এমনও হতে পারে যে সুদের হার হয়তো আর বাড়ানো হবে না, বরং ফেড সুদের বর্তমান হার বজায় রেখেই মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
ফেডারেল রিজার্ভের লক্ষ্য মূল্যস্ফীতির হার ২ শতাংশে নামিয়ে আনা সুদের হার বাড়ানোর যে ধারা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুরু করেছিল, তার সম্ভবত সমাপ্তি ঘটছে। ফেডারেল রিজার্ভকে অনুসরণ করে বিশ্বের বহু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সুদের হার বাড়িয়ে চলছিল। এখন অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ডলার শেষ পর্যন্ত হয়তো একটি টেকসই স্তরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক সেবাদানকারী কোম্পানি চার্লস শোয়াবের স্থায়ী আয়বিষয়ক চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট ক্যাথি জোনস বলেন, ‘শহরের একমাত্র আকর্ষণ হিসেবে ডলার তার চাকচিক্য খানিকটা হারিয়েছে।’
স্টকমার্কেটবিডি.কম/////