চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আরও ৫০ ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স (ট্রেক রাইট) বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের দ্বিতীয় এই শেয়ারবাজারকে কার্যকর করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে নতুন করে ট্রেক রাইট বিক্রির এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান শেয়ারহোল্ডার, অর্থাৎ সদস্য ব্রোকারেজ হাউস মালিকদের সম্মতি নিতে হবে। এ জন্য ২৬ নভেম্বর বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ডেকেছে সিএসই পর্ষদ।
জানা গেছে, গত কয়েক মাসে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমায় লেনদেন ফি থেকে আয়ের অংশ দিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জটির দৈনন্দিন ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় নতুন ব্রোকারেজ হাউস খোলার অনুমতি দিয়ে একদিকে যেমন সিএসইতে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ বাড়বে, তেমনি ট্রেকহোল্ডার রাইট বিক্রির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য আয়ও হবে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) র এমডি ওয়ালী-উল-মারুফ মতিন বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশনকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতেই নতুন ট্রেক লাইসেন্স বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে ডিমিউচুয়ালাইজেশন বাস্তবায়নের আগে নতুন করে ব্রোকারেজ হাউস খোলার অনুমতি দেওয়ার কোনো রীতি ছিল না। ব্রোকাররা নিজেদের স্বার্থেই তা চাইত না।
বর্তমানে সিএসইর ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা ১৪৮। এর মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ১৩২টি। গত বৃহস্পতিবার এ বাজারে ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। গত এক বছরে দৈনিক গড়ে কেনাবেচা হয় ৩৮ কোটি ২২ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার। যদিও একই সময়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দৈনিক গড়ে ৪২৭ কোটি ১২ লাখ টাকার। অর্থাৎ ডিএসইর তুলনায় সিএসইর লেনদেন ৯ শতাংশেরও কম।