বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মুক্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণে থাইল্যান্ড সহযোগিতা করবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফতুং হামফ্রেইস আজ তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক, নারীর ক্ষমতায়ন, দু’দেশের পারস্পরিক পর্যটন সম্ভাবনা, উভয় দেশের পারস্পরিক সংসদ সফরের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর হতে থাইল্যান্ড বাংলাদেশেকে সহযোগিতা করে আসছে। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এ সম্পর্ক আজ অত্যন্ত সুদৃঢ়। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় স্পিকার সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে দু’দেশের সংসদীয় সম্পর্ক জোরদারকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফতুং হামফ্রেইস এসময় নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের প্রশংসা করলে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্পিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের পদায়ন এবং উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করাসহ নারী অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৯ সাল থেকে নারীশিক্ষার সম্প্রসারণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, বাল্যবিয়ে রোধ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের সকল নারীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বার্থে দেশে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফতুং হামফ্রেইস স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, উভয় দেশের উন্নয়ন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য পারস্পরিক সফর বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
স্টকমার্কেটবিডি.কম/