ঈদুল ফিতরে নতুন পোশাক কেনাকাটার কারণে মাস ওয়ারি খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এপ্রিল মাসে এখাতে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির হার ছিল। মে মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের মাস খানেক আগ থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়। এ কারণে এই খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
সোমবার (০৪ জুন) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদে ছোট বড় সবার কাপড় চোপড় কেনা কাটার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অস্বাভাবিক হারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, মাস ওয়ারি খাদ্যপণ্যে এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে। এপ্রিল মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। মে মাসে এর হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশে।
হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুগ্ধ জাতীয় ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্যস্ফীতি জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে কমেছে। কমেছে মাসওয়ারি সাধারণ খাতে মূল্যস্ফীতির হার। মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/জেডআর