যমুনা ব্যাংকে তৃতীয় বিভাগপ্রাপ্তকে দফায় দফায় এমডি নিয়োগ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্বে থাকা মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদের নিয়োগে ব্যাংকিং নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। শিক্ষাজীবনে তাঁর একটি তৃতীয় বিভাগ থাকলেও বিশেষ খুঁটির জোরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো আপত্তি ছাড়াই তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর মাধ্যমে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর তাঁর প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় তাঁকে এমডি নিয়োগের জন্য পর্ষদ থেকে সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চাওয়া হয়।

এ দফায়ও আপত্তি ছাড়াই তাঁকে ১৩ লাখ টাকা বেতনে পাঁচ বছরের জন্য পুনর্নিয়োগের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে তৈরি করা ব্যাংকিং নীতিমালা খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকই দফায় দফায় লঙ্ঘন করেছে। তৃতীয় বিভাগপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে এর দায় এড়াতে পারে না ব্যাংকটির পর্ষদও। এদিকে অনিয়মের মাধ্যমে মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ এমডি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাংক হিসাবেও আর্থিক লেনদেনে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালিত এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে এসব অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে তদন্ত দল এসব অনিয়মের হোতা মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে।

২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এমডি নিয়োগসংক্রান্ত এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, এমডি এবং সিইও নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। সম্প্রতি এমডি নিয়োগের নতুন আরেকটি নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নীতিমালায় একই যোগ্যতা বহাল রয়েছে। ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ বিকম পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগপ্রাপ্ত। এর মানে মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ এবং এমডি পদে তাঁকে নিয়োগ করা ব্যক্তিরা সরাসরি এই নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে সমান অভিযুক্ত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *