কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ীকে দায়ী করে বলেছে, পিয়াজের সরবরাহ সংকটকে পুঁজি করে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী-আমদানিকারক এবং খুচরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পিয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নয়নে সহায়ক হয়নি। দামও কমেনি। তাই আলাদা বা পৃথক মন্ত্রণালয় প্রয়োজন।
বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় অথবা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আলাদা একটি বিভাগ গঠনের দাবি জানিয়েছে তারা। একইসঙ্গে পিয়াজের মৌসুমে কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানিতে শুল্ক আরোপের দাবি জানান।
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় ক্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহবায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া প্রমুখ।
এ সময় ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, পিয়াজের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ সরবরাহ সংকট। আর এ সুযোগ নিচ্ছে কিছু আসাধু ব্যবসায়ী বা অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। তারা পিয়াজের সংকটের সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়েছে। সরকার মূল্য নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে পিয়াজ কিনে টিসিবির ডিলার এর মাধ্যমে সুলভ মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করে।
তাছাড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে বাজার অভিযানের মাধ্যমে মূল্য নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অধিক মূল্যে বিক্রির অপরাধে জরিমানা করেছে। এসব ব্যবস্থা সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নয়নে সহায়ক হয়নি। দামও কমেনি। ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন নিবিড় পর্যবেক্ষণের কিন্তু তা হচ্ছে না।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/