আদালতের অনুমোদন পেয়েছে সামিট গ্রুপের প্রস্তাবিত একীভূতকরণ স্কিম। তবে এক্ষেত্রে স্বাধীন ভ্যালুয়ারের মাধ্যমে তালিকাবহির্ভূত দুই কোম্পানির সম্পদ মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।
কোম্পানি আইন অনুসারে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) একীভূতকরণের ব্যাপারে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিয়ে উচ্চ আদালতের অনুমোদনও পায় সামিট। তবে কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার বিনিময় হার সম্পর্কে প্রশ্ন ওঠায় এ বিষয়ে সম্মতি না দিয়ে উচ্চ আদালতে যায় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গেল মাসে এ বিষয়ে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বেঞ্চ একীভূতকরণের অনুমতি দেন। তবে বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে শেয়ারবাজারের বাইরে থাকা দুই কোম্পানির নতুন ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের কোম্পানি সচিব স্বপন কুমার পাল বলেন, আমরা এখনো আদালতের আদেশের কপি হাতে পাইনি। ভ্যালুয়েশনের ব্যাপারে আদালতের কোনো রিকমেন্ডেশন থাকলে আমরা নিশ্চয়ই তা পালন করব।
পরবর্তীতে ভ্যালুয়েশন রিপোর্টে কোনো পরিবর্তন এলে শেয়ার বিনিময় হারে পরিবর্তন আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রয়োজন হলে তা করতে কোনো বাধা নেই। একীভূতকরণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি কোম্পানির ব্যবসায়িক দক্ষতা বাড়বে।
উল্লেখ্য, তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে গ্রুপের আরেক তালিকাভুক্ত বিদ্যুত্ প্রতিষ্ঠান সামিট পূর্বাঞ্চল ছাড়াও শেয়াবাজারের বাইরে থাকা সামিট উত্তরাঞ্চল ও সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে একীভূত করতে চায় সামিট গ্রুপ।
শেয়ারহোল্ডার ও উচ্চ আদালতের অনুমোদন পাওয়া স্কিম অনুসারে, সামিট পূর্বাঞ্চলের শেয়ারহোল্ডাররা তাদের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সামিট পাওয়ারের ১ দশমিক ৩০৯টি শেয়ার পাবেন। অন্য দুই কোম্পানির মধ্যে সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা সামিট পাওয়ারে ১ দশমিক ৬৬৮টি শেয়ার পাবেন।
এছাড়া সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা নিজ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১ দশমিক ৪৭৫টি সামিট পাওয়ার শেয়ার পাবেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমআর