করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাস সব ধরনের ঋণের সুদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থগিত সুদ ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তরও করা যাবে না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এপ্রিল ও মে মাসের সুদ স্থগিত থাকবে।
গতকাল রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়, ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আরোপিত সুদ আদায় বন্ধ থাকবে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জুন পর্যন্ত কেউ ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেও খেলাপি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করতে নির্দেশ প্রদান করে।
করোনাকালে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকতে ঋণের সুদ আদায় স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সার্কুলার জারি করেছে। ব্যাংক কম্পানি আইনের ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের দাবি, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি আদায় ও শিল্প খাতে বিপর্যয় ঠেকাতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের সুদ মওকুফ করা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংকটে পড়েছে দেশের শিল্প খাত। ব্যবসা চলমান না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। আর করোনায় সংকটে পড়া শিল্প খাতকে সহায়তা করতে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, এই দুই মাসের সুদ বা আরোপযোগ্য সুদ/মুনাফা ‘সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে’ স্থানান্তর করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতার কাছ থেকে আদায় করা যাবে না।
সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণ ও গতিশীল রাখার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন সব ধরনের ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ দুই মাসের সুদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কোনো ব্যাংক এরই মধ্যে কোনো ঋণের সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করে থাকলে তা রিজার্ভ এন্ট্রির মাধ্যমে সমন্বয় করতে হবে। ব্লকড হিসাবে রক্ষিত সুদ সমন্বয়ের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে অবহিত করা হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/