মুঠোফোন অপারেটর বাংলালিংকের আয় ২০১৬ সালে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ বা ১৬০ কোটি টাকা বেড়েছে। গত বছর প্রতিষ্ঠানটির মোট আয় হয়েছে ৪ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। তবে প্রতিষ্ঠানটি এক বছরে কত মুনাফা বা লোকসান করেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
বাংলালিংকের মূল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ভিওন প্রকাশিত ২০১৬ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ভিওন এত দিন ভিম্পেলকম নামে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৮টি দেশে বর্তমানে ভিওনের ব্যবসা রয়েছে।
বাংলালিংকের আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির ১৬০ কোটি টাকা আয় বৃদ্ধির পুরোটাই এসেছে ইন্টারনেট ডেটা থেকে। গত বছর ইন্টারনেট থেকে অপারেটরটির আয় হয়েছে ৪৯০ কোটি টাকা, যা ২০১৫ সালে ছিল ৩৩০ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অপারেটরটির গ্রাহকপ্রতি ডেটার ব্যবহার দাঁড়িয়েছে ৩৯১ মেগাবাইট। এক বছরে গ্রাহকপ্রতি ডেটা ব্যবহার বেড়েছে ১৯২ শতাংশ। এ ছাড়া অপারেটরটির গ্রাহকপ্রতি মাসিক গড় আয় (এআরপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১৩০ টাকা।
ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাংলালিংকের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ, যা আগের বছর ছিল ৩ কোটি ২৩ লাখ। অর্থাৎ এক বছরে অপারেটরটির গ্রাহক ১৯ লাখ কমেছে। গত বছর রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার পর গ্রাহকসংখ্যায় এখন তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলালিংক। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ২০১৬ সালে বাংলালিংক ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৫৯ শতাংশ বাংলালিংকের তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। ২০১৫ সালে থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় ছিল ৩৩ শতাংশ মানুষ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ