নিজস্ব প্রতিবেদক :
আর্থিক প্রতিবেদনের গুণগত মান নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে ‘ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট, ২০১৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হযেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, জনস্বার্থে সম্পৃক্ত সংস্থার আর্থিক প্রতিবেদনের কোয়ালিটি ও ফরমেট অর্থনৈতিক সুশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অডিটররা প্রতিবেদনের ফরমেট তৈরি করে। আর্থিক প্রতিবেদনের গুণগত মান নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে মান নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে তা বাস্তবায়নে তদারকি ও আইনের প্রয়োগও করতে হবে। এজন্যই এ আইনটি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ আইন শেয়ারবাজারে খুবই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর্থিক প্রতিবেদনের মান উন্নত হলে পুঁজিবাজারের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করা সম্ভব।’
২০০৮ সালে তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে ফিন্যান্সিয়াল রির্পোটিং নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরবর্তীতে সরকার সেটি আর আইনে রূপ দেয়নি। তবে অর্থ বিভাগ মনে করছে, এমন একটি আইন থাকা দরকার। তাই ২০০৯ সালে মে মাসে আইনের একটি খসড়া মন্ত্রিসভায় আসে। তবে মন্ত্রিসভা কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়। এরপর ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয়বার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের ১৯ আগস্ট এ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মোশাররাফ হোসাইন বলেন, আইনে ফিন্যান্সিয়াল রিপোটিং কাউন্সিল থাকবে। আইন প্রয়োগে এ কাউন্সিলই হবে অভিভাবক। কাউন্সিলে চারটি বিভাগ থাকবে- মানদণ্ড নির্ধারণী বিভাগ, আর্থিক প্রতিবেদন পরিবীক্ষণ বিভাগ, নিরীক্ষা চর্চা পুননিরীক্ষণ বিভাগ ও প্রয়োগকারী বিভাগ।
কাউন্সিলে একজন চেয়ারম্যান ও ১০ জন সদস্য থাকবেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। চেয়ারম্যানের অধীনে চারজন নির্বাহী পরিচালক থাকবেন। তারাও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
‘কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। সরকার গেজেট জারির মাধ্যমে অভিজ্ঞদের নিয়ে আপিলকারী কর্তৃপক্ষ গঠন করবে।’
এখন আইনটি সংসদে পাসের জন্য যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ আইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবেদনের মান উন্নত হবে। জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের সেবার মান ও জবাবদিহিতা আরো বাড়বে।
এ আইন ভঙ্গের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। নীতিগত অনুমোদনের সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আইন লঙ্ঘনে এক থেকে পাঁচ বছরের জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে অডিটরদের।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/সি