নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দর সংশোধন এখন পতনে রূপ নিয়েছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৫৪৭ কোটি টাকা। ডিএসইর তথ্যানুসারে, ৯ নভেম্বর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮৫৭ কোটি টাকা। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৩শ কোটি টাকারও নিচে। কমেছে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি।
আশঙ্কাজনকহারে কমেছে বাজার মূলধন। বিষয়টি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে এটাকে সহজভাবে নিতে পারছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা আবারও বাজার ২০০৯-১০-এর ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। ফলে তারা বিনিয়োগ নিয়ে দোলাচলে পড়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কয়েকটি কারণে বাজারে এখন নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর একটি হচ্ছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে অস্বাভাবিকহারে সংশোধন হওয়া।
খাতভিত্তিক কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য এবং ১ কোটি টাকার ওপর মার্জিন ঋণগ্রহীতাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) পাঠানো হচ্ছে এমন খবর। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারবিমুখ থাকাও বাজার পতনের আরও একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য মতে, গত ৯ নভেম্বর প্রধান সূচক অবস্থান করছিল ৫ হাজার ২৫ পয়েন্টে। সর্বশেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে তা ৪ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, বাজারে নতুন আসা কোম্পানিগুলো যখন সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন শুরু করে তখন সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয় বিনিয়োগকারীদের। কারণ এসব কোম্পানিতে অনেক সময় কারসাজির আশঙ্কা থাকে।
প্রথমে শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বেড়ে আবার অস্বাভাবিকহারে কমে যায়। যার প্রভাব পড়ে মার্কেটে। আর এতে অসুবিধায় পড়তে হয় সেসব বিনিয়োগকারীকে যারা বেশি দরে শেয়ার কেনে। তাই বিনিয়োগকারীদের বেশিদরে শেয়ার ক্রয় না করে কোম্পানির মৌলভিত্তির বিচারে শেয়ার কেনাবেচা করা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে