শাশা ডেনিমসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সাবস্ক্রিপশন জমা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো বাঁধা নেই। প্রতিষ্ঠানটির উপর উচ্চ আদালতের চার সপ্তাহের রুল জারি থাকলেও তা আইপিও প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা হবে না বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শাশা ডেনিমসের আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্য বিভ্রাট পাওয়া গেছে এবং কোম্পানিটির আইপিওতে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইপিও অনুমোদনের আগে কোম্পানির সম্পদ ও দায় মিলে নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৯ টাকা, যা আইপিও অনুমোদনের সময় ৫২.৯৩ টাকা দেখিয়েছে কোম্পানিটি।
এমন অভিযোগ এনে গত সপ্তাহে সিনিয়র কাউন্সিলর ব্যারিস্টার আহসানুল করিম ও এ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলামের দায়ের করা রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন উচ্চ আদালত।
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাশা ডেনিমসের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আহসানুল হক স্টকমার্কেটবিডিকে বলেন, “আনীত অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহিন। তাছাড়া আদালত আমাদের উপর রুল জারি করেছে। এটা নিষেধাজ্ঞা নয়। এতে আইপিও অনুমোদনে কোনো সমস্যা হবে না।”
এসময় তিনি গুজবে কান না দিয়ে শাশা ডেনিমসের প্রতি আস্থা রেখে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে বিনিয়োগকারিদের প্রতি আহবান জানান।
কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ৫ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সাথে ২৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩৫ টাকা মূল্যে কোম্পানিটি শেয়ার ইস্যু করবে।
২০১৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারে আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। নেট এসেট ভ্যালু (এনএভি) হয়েছে ৫২ টাকা ৯৫ পয়সা ।
আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকা কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যংক ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এএফসি ক্যাপিটাল ও ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড। গত ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫২৯তম সভায় শাশা ডেনিমসের আইপিও অনুমোদন দেয়।
এর প্রেক্ষিতে গত রবিবার থেকে আবেদন শুরু হয়। চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে অনিবাসী বাংলাদেশীদের (এনআরবি) জন্য ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/টিআই/এএআর