নিজস্ব প্রতিবেদক :
সম্প্রতি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বাজার কর্তৃপক্ষ নানামূখী পদক্ষেপের পরও এব্যবস্থায় লেনদেনে গতি আনতে পারছে না। আবার বিনিয়োগকারীরাও নতুন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হতে পারছেন না।
বাজার তথ্য থেকে জানা যায়, স্বয়ংক্রিয় লেনদেন চালুর পরে ৬ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। যা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২২১ কোটি টাকা। অপরদিকে চালুর আগের ৫ কার্য দিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা, যা গড়ে প্রতিদিন ছিল প্রায় ৪৪৯ কোটি টাকা।
অর্থাৎ এ সময়ের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ কিছুটা বেশি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো জানা গেছে, নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালুর আগে ডিএসইর ব্রড ইনডেস্ক ছিল ৪৯৪৩ পয়েন্ট, শরিয়া ইনডেস্ক ছিল ১১৫৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ ইনডেস্ক ১৮২৭ পয়েন্ট ছিল।
কিন্তু ৬ কার্যদিবসের লেনদেনের ৫ কার্য দিবস বাজারে পতন ঘটেছে। এর মধ্যে ডিএসইর ব্রড ইনডেস্ক ৯৩ পয়েন্ট কমে ৪৮৪৯ পয়েন্টে, শরিয়া ইনডেস্ক ১২ পয়েন্ট কমে ১১৪৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ ইনডেস্ক ৩৭ পয়েন্ট কমে ১৭৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে নতুন লেনদেন ব্যবস্থার আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা নতুন লেনদেন ব্যবস্থার পর তা এসে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৩০৯ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ৬ কার্যদিবসের ব্যবধানে মূলধন কমেছে ৬ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন চালুর পর অনেক বিনিয়োগকারী বিষয়গুলো বুঝে উঠতে পারছে না। একইসঙ্গে ডিসেম্বর ক্লোজিংকে সামনে রেখে বিশেষ করে বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে না। ফলে লেনদেন শ্লথ গতিতে হচ্ছে।
আবার নতুন স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিনিয়োগকারীরা বুঝতে সক্ষম হলে একটা সময় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে দাবি করছেন তারা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর