বিনিয়োগকারীদের অসচেতনতার সুযোগ নিচ্ছে শেয়ারবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করা অনেক কোম্পানি। হুমড়ি খেয়ে সবাই আইপিও সাবস্ক্রিপশন জমা দিলেও পরবর্তীতে কোম্পানিটির খোজঁ খবর নিচ্ছেন না তারা। আর এই সুযোগে লাভবান হচ্ছে অনেক ভুয়া কোম্পানি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১১ সালের আগস্ট থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৪৪টি কোম্পানি বাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে।
অধিকাংশ কোম্পানি এসব অর্থ প্রতিশ্রতি অনুযায়ী বিনিয়োগ করছেন না। কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ফাকি দিয়ে এসব অর্থ দিয়ে অন্য খাতের ব্যবসা করছেন। ফলে ভালো লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে অনেক নামী-দামী প্রতিষ্ঠান।
তারপরও কোনো কোম্পানির আইপিওতে চাহিদার চেয়ে কম আবেদন জমা পড়েনি। বরং বেশি আবেদন জমা পড়ায় প্রত্যেক কোম্পানিকে লটারি করে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দিতে দেখা গেছে।
লেনদেনের প্রথম দিনে শেয়ার দর কয়েকগুণ বেশি বাড়তে দেখে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনের হিড়িক পড়ে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে শেয়ারবাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে অনেক ভুয়া কোম্পানি।
এ ছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন আইপিওর নির্দেশক মূল্যের চেয়ে বেশি দরে শেয়ার কিনতে দেখা গেছে। এ কারণে আইপিওতে বেশি আবেদন জমা পড়ে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এখন অনেক ভুয়া কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি সেকেন্ডারি মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএসইসি আইপিও অনুমোদন দিলেই কোম্পানিটির কোনো কিছুই বিচার বিশ্লেষণ না করে শেয়ার পাওয়ার জন্য আবেদনের হিড়িক পড়ে। এক্ষেত্রে একটি কোম্পানি ভুয়া বলে গণমাধ্যমে খবর এলেও তারা সচেতন হন না।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর