ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের দর বাড়ার কারণ নেই

ilf-stockmarketbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক হারে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কী কারণে অস্বাভাবিক হারে শেয়ার দর বাড়ছে, তা জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে এর জবাব দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেখা গেছে ২ ফেব্রুয়ারি ১২.৪ টাকায় অবস্থান করা কোম্পানিটির শেয়ার ১৭ তারিখে বেড়ে ১৬.৮ টাকায় অবস্থান করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রদানে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র

usaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০১৪ সালটা ছিল আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বছরটিতে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ হিসেবে মোট ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিতরণ করেছে। এই অর্থ ২০১৩ সালে বিতরণ করা লভ্যাংশের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি।

বহুজাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হেন্ডারসন গ্লোবাল ইনভেস্টরসের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য গত বছরের শুরুর দিকে পূর্বাভাস দিয়েছিল, জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতন ও অর্থনীতিতে ধীরগতির প্রবৃদ্ধির কারণে ২০১৪ সালে বিশ্ব শেয়ারবাজারে লভ্যাংশের প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ শতাংশ। কিন্তু হেন্ডারসনের এ পূর্বাভাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আলোচ্য বছর শুধু মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোই বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

বেশি হারে লভ্যাংশ দেওয়ার কারণ হিসেবে হেন্ডারসন এখন বলছে, বিশ্বজুড়ে ডলারের আর্থিক মান ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ওঠায় বেশি হারে লভ্যাংশ দিতে পেরেছে কোম্পানিগুলো। হেন্ডারসনের কর্মকর্তা অ্যালেক্স ক্রুক বলেন, আয়ের দিক দিয়ে দেখলে ২০১৪ সাল ছিল বিনিয়োগকারীদের জন্য অসাধারণ একটি বছর। তবে ২০১৫ সাল এতটা ভালো হবে না। কারণ, এক বছরে লভ্যাংশ বেশি দিলে পরের বছরে সাধারণত তা কমে আসে।

লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি এগিয়ে আছে। হেন্ডারসনের হিসাব অনুযায়ী, উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে লভ্যাংশ বিতরণ হয়েছে ৩৯ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আর ইউরোপে ২২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার, যুক্তরাজ্যে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১১ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার, জাপানে ৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলার লভ্যাংশ বিতরণ হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বে লভ্যাংশ বিতরণের মোট প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬০ শতাংশ। আশা করা হচ্ছে, লভ্যাংশ থেকে আয় বাড়ার ফলে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি হারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন। ২০১৪ সালের জন্য রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণার ফলে চলতি বছরে বিভিন্ন শেয়ারের দামের মন্দা ভাবে কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।

জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। চলতি বছরেও উন্নত বিশ্বের জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠাগুলোর চেয়ে উন্নয়নশীল বিশ্বের কোম্পানিগুলোই কম লভ্যাংশ দেবে—ধারণা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটির। তবে গবেষণায় আরও একটি দিক উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়লেও তা ঘুরেফিরে কয়েকটি বড় কোম্পানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। অর্থাৎ সব প্রতিষ্ঠান সমানভাবে লভ্যাংশ দিচ্ছে না। ২০১৪ সালে বিতরণ করা মোট লভ্যাংশের ১১ শতাংশই দিয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠান। আর সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেওয়া শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠান মোট লভ্যাংশের ১৮ শতাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল ভোডাফোন। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যে মোট লভ্যাংশের ২০ শতাংশ একাই দিয়েছে। অন্যান্য বড় আকারের লভ্যাংশ দাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শেল, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক, এইচএসবিসি, অ্যাপল ও মাইক্রোসফট। তবে মাইনিং বা খনিজসম্পদ উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলো টানা তৃতীয়বারের মতো এবারও লভ্যাংশ কমিয়েছে।

হেন্ডারসন গ্লোবাল ইনভেস্টরসের গবেষণাটি বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া মোট ১ হাজার ২০০ কোম্পানির দেওয়া লভ্যাংশের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি ছোট আকারের কিছু প্রতিষ্ঠানের দেওয়া লভ্যাংশও হিসাব করা হয়েছে। তবে বিশ্ব শেয়ারবাজারের এই রেকর্ড বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিশ্ব শেয়ারবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তাই দেশীয় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য বাড়তি কোনো সুফল নিয়ে আসবে না বলে স্থানীয় শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সূত্র: বিবিসি
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

  1. শাহজিবাজার পাওয়ার
  2. সিটি ব্যাংক
  3. ইফাদ অটোস
  4. লাফার্জ সুরমা
  5. এমজেএলবিডি
  6. বাংলাদেশ সাবমেরিন
  7. সিভিও পেট্রো
  8. অগ্নি সিষ্টেম
  9. বেক্সিমকো
  10. আমরা টেকনোলজিস।

উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের সামান্য উত্থান

index upনিজস্ব প্রতবেদক :

সপ্তাহের চতুর্থ দিনে উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেড়েছে ১.৮৬ পয়েন্ট আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৪.৭১। ডিএসইতে সূচকের সাথে লেনদেন বেড়েছে, তবে সিএসইতে কমেছে। এর আগে রবি ও সোমবার উভয় বাজারে সূচকের অবনতি হলেও মঙ্গলবার ঘুরে দাড়ায়।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৪৮০২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ১৪৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। লেনদেন হয়েছে ২৫৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

আগের দিন ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৩০.৯৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৮০০ পয়েন্টে। এ দিন লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ১৭৮টির, কমে ৮৩টির আর অপরিবর্তিত থাকে ৫১টির। লেনদেন হয় ২৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

ডিএসইতে সবচেয়ে বেশী শেয়ার লেনদেন হয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার, সিটি ব্যাংক, ইফাদ অটোস, লাফার্জ সুরমা, এমজেএলবিডি, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, সিভিও পেট্রো, অগ্নি সিষ্টেম, বেক্সিমকো ও আমরা টেকনোলজিস।

দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক অবস্থান করছে ৮৯৩০.৫৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১০৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

আগের দিন ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৮৯১৪.৬৯ পয়েন্টে। এ দিন লেনদেন হওয়া ২৩৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ১২৭টির, কমে ৮২টির এবং দর অপরিবর্তিত থাকে ২৬টির। লেনদেন হয় ২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

আইডিএলসির বোর্ড সভা ২৫ ফেব্রুয়ারি

idlcস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার দিন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ৪টায় এই কোম্পানির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে কোম্পানির ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। একই সাথে বৈঠকে আসতে পারে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ।

২০১৩ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছিল ৪ টাকা ১৬ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

গ্রীন ডেল্টার ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

green deltaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস ও ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পর্ষদ সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

আলোচিত বছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৩ টাকা ২৬ পয়সা।

গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ২ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ মার্চ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ