নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেয়ারবাজারে গতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে বাজারসংশ্লিষ্ট ছয়টি সংগঠনের সমন্বয়ে নতুন একটি ফোরাম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত শেয়ারবাজারবিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এ ফোরামের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট ফোরাম। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ছয়টি সংগঠনেরই প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অন্য সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ বা এবিবি, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ ও বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইএর সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, শুরুতে নতুন ফোরামের কার্যক্রম হবে শেয়ারবাজারকেন্দ্রিক। পরবর্তী সময়ে অর্থবাজারসহ আর্থিক খাতসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কাজ করবে এ সংগঠন। তবে এখনো পর্যন্ত এটির কোনো রূপরেখা ঠিক হয়নি।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান বলেন, শেয়ারবাজারে যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে তাদের টাকার প্রধান উৎস হলো ব্যাংকঋণ। এ মুহূর্তে উচ্চ সুদে ব্যাংকঋণ নিয়ে তা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মতো সামর্থ্য বা অবস্থা অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকের নেই। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠনের বিষয়ে সভায় একমত পোষণ করা হয়। সে অনুযায়ী আগামী বাজেটকে সামনে রেখে এ ধরনের একটি তহবিল গঠনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানান ফায়েকুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় না থাকলে বাজারে গতি ফিরবে না। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের নির্ধারিত যে বিনিয়োগ সীমা আরোপিত রয়েছে তার কারণে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বাজারে ইচ্ছে থাকলেও বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা হিসাবের ক্ষেত্রে শেয়ারের যে সংজ্ঞা রয়েছে তাতে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন সিকিউরিটিজকে হিসাবে ধরা হয়। এ ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত নয় এমন সিকিউরিটিজকে বিনিয়োগ সীমার হিসাবে ধরা না হলে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর