আইপিও র মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসতে যাচ্ছে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি, সম্পদের দিক দিয়ে যাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কোম্পানি, সেই সৌদি আরামকোর আইপিও। সংশ্লিষ্টদের জন্য, এটা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইপিও।
আরামকোর আইপিও ছাড়ার এই খবরে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বের তাবৎ বড় বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। সাড়া পড়ে গেছে বিশ্বের বড় বড় শেয়ার বাজারগুলোতে।
আরামকোর শেয়ার সতিই সত্যিই বাজারে আসলে নিঃসন্দেহে তা হবে বিশ্বের শেয়ারবাজারের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আইপিও। এ বছরের শুরুতে বর্তমান সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদের পুত্র ২৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সাউদ’ই প্রথম আরামকোর শেয়ার বাজারে ছাড়ার ইঙ্গিত দেন।গত চার জানুয়ারি সৌদি রাজপরিবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য ইকোনোমিস্টকে জানান, তারা আরামকোর আইপিও বাজারে ছাড়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
ক্রবার এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিও বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নেয়। পরে গত সোমবার আরামকোর চেয়ারম্যান খালিদ আল ফালিহ ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো সময়সীমা সুস্পষ্ট করে জানাননি তিনি।
এ ব্যাপারে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, আরামকোর মূল্য ১ ট্রিলিয়ন থেকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে। যার মাধ্যমে এটি পৃথিবীর শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে সম্পদশালী কোম্পানিতে পরিণত হতে পারে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সৌদি আরব অবশ্য কোম্পানির খুব ক্ষুদ্র একটি অংশকে শেয়ারবাজারে ছাড়তে পারে।
২০১৪ সালে চীনা অনলাইন মার্কেট প্লেস আলিবাবা যখন শেয়ার বাজারে আসে তখন এর আইপিও‘র মূল্য ছিলো ২৫ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া আরামকো কোন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে তাও পরিষ্কার নয়। যদিও রিয়াদ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়াই প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যাপ্তি সীমিত। এর মোট মূল্যমানই মাত্র ৪শ’ বিলিয়ন ডলার। সেক্ষেত্রে আরামকো একই সঙ্গে রিয়াদ ও বিদেশি বৃহৎ শেয়ার বাজার যেমন লন্ডন কিংবা নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে পারে।
মূলত আরামকো ছিলো একটি বহুজাতিক মার্কিনী প্রতিষ্ঠান। চারটি মার্কিন তেল কোম্পানি মিলে তৈরি হয়েছিলো এই কোম্পানি। সম্পদের দিক থেকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি। প্রতিদিন এই প্রতিষ্ঠান উত্তোলন করে ৯৫ লাখ ব্যারেল তেল। যা বিশ্বের তেলের মোট চাহিদার এক দশমাংশ।
সূত্র : অনলাইন
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ