স্টকমার্কেট ডেস্ক :
শেয়ারবাজারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও বাজারের দরপতন ঠেকাতে পারছে না। ধারাবাহিক দরপতনে দেশের শেয়ারবাজারের সূচক আবারও তলানিতে নেমে এসেছে। গত ১৫ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় পৌনে ৩০০ পয়েন্ট কমেছে। আর সাত দিন ধরে একটানা দরপতন চলছে বাজারে।
পতন ঠেকাতে গত বুধবার শেয়ারবাজারের জন্য নীতি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগসীমা সমন্বয় করতে গিয়ে যাতে বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ তৈরি না হয়, সে জন্য এ নীতি সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়। তাতে শেয়ার বিক্রি না করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের পথ বাতলে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশেই এ সিদ্ধান্ত নিতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। কিন্তু তাতেও পতন থামেনি শেয়ারবাজারে।
নীতি সহায়তার ওই ঘোষণার পরও দরপতন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৪ হাজার ১৭১ পয়েন্টে। এর ফলে সূচকটি ফিরে গেছে এক বছর আগের অবস্থানে। সর্বশেষ গত বছরের ৭ মে ডিএসইএক্স ৪ হাজার ১২২ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০ ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১০টি ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে। সেই ১০টি ব্যাংককে শেয়ার বিক্রি না করে বিনিয়োগ সমন্বয়ের ‘বিশেষ সুবিধা’ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বাড়িয়ে এ সুবিধা নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। তার জন্য ব্যাংকের দিক থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ জন্য আলাদা করে কোনো নির্দেশনা জারি করবে না।
গতকাল সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ