নির্দেশ না মানায় ১৪ মার্চেন্ট ব্যাংককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে শেয়াবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনার পরও কিছু মার্চেন্ট ব্যাংক নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাসিক প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় এর কারণ জানতে চেয়ে তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির জবাব দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাত কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সব মার্চেন্ট ব্যাংককে মাসিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। প্রতিবেদনে ইস্যু ব্যবস্থাপনা, পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা, অবলেখন, গ্রাহকের ইকুইটি, মার্জিন ঋণ বিতরণ, মোট মার্জিন ঋণের বিপরীতে গ্রাহকের ইকুইটি, মার্চেন্ট ব্যাংকের নিজস্ব ইকুইটি বিনিয়োগের হালনাগাদ তথ্য, মূল কোম্পানি থেকে তাদের নেয়া ঋণ, প্রতিষ্ঠানের পুঞ্জীভূত মূলধনি লাভ-লোকসান, বার্ষিক মুনাফা বা লোকসানসহ প্রয়োজনীয় উপাত্ত উপস্থাপন করতে হয় সব মার্চেন্ট ব্যাংককে।
মাসিক প্রতিবেদন জমাদানে ব্যর্থতার কারণে এ দফায় এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট, বেঙ্গল ইনভেস্টমেন্ট, বেটা ওয়ান ইনভেস্টমেন্ট, সিএপিএম অ্যাডভাইজরি, সিটিজেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফার্স্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস, গ্রীনডেল্টা ক্যাপিটাল, ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল, রিভারস্টোন ক্যাপিটাল, রয়্যাল গ্রীন ক্যাপিটাল মার্কেট, সন্ধানী লাইফ ফিন্যান্স, সিগমা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
প্রসঙ্গত, নিজস্ব ও গ্রাহক পোর্টফোলিওতে বড় লোকসানের পাশাপাশি ইস্যু ব্যবস্থাপনাসহ অনুমোদিত বিভিন্ন সেবার ব্যবসায়ে তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে কঠিন সময় পার করছে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকিং খাত। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া বিএসইসির চিঠি পাওয়া কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকই ব্যবসায়ে ভালো করতে পারছে না।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ