সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) ওয়েবসাইটে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করে রূপালি ব্যাংক। গতকাল রবিবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৬৭ পয়সা। ব্যাংকটির মুনাফায় এমন উল্লম্ফনের খবরে দ্রুত কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পায়। দুই বাজারেই ব্যাংকটির শেয়ার গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়ে ২৭ টাকা ৬০ পয়সায় কেনাবেচা হয়। এমনকি গত কয়েক বছরের মধ্যে গতকালই ব্যাংকটির রেকর্ড সংখ্যক শেয়ার কেনাবেচা হয়।
শেয়ারটির দর আরও বাড়তে পারে_ এমন ধারণা থেকে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার বিক্রি থেকে বিরত থাকেন। এতে দুপুর আড়াইটায় লেনদেন শেষ হওয়ার আগেও রূপালী ব্যাংকের বিপুল সংখ্যক শেয়ার ক্রয়ের আদেশ থাকলেও ছিল না কোনো বিক্রেতা। শেষ পর্যন্ত গতকাল ডিএসইতে রূপালী ব্যাংকের ৮ লাখ ১৭ হাজার ৩১৫টি শেয়ার হাতবদল হয়। যার মূল্য ছিল সোয়া ২ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়া সিএসইতে ৪১ হাজার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ১১ লাখ ২৭ হাজার টাকায়।
লেনদেন চলাকালে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে ইপিএস সম্পর্কিত প্রথমে প্রকাশ করা তথ্যটি ভুল জানিয়ে সংশোধনী পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে বছরের প্রথম ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা। রূপালী ব্যাংকের এ ভুলকে ‘অমার্জনীয়’ আখ্যায়িত করে এর দায় কে নেবে_ এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা বলেন, এখন শেয়ারটির দরপতন শুরু হলে বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে ব্যাংকটির কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া।
যোগাযোগ করা হলে ব্যাংকটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এজিএম খায়রুল হোসেন রাজু জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
অন্যদিকে ডিএসইর দাবি, এটা ব্যাংকের ভুল, স্টক এক্সচেঞ্জের নয়। ব্যাংকটি সংশোধনী দেওয়ার পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তা ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক বিএসইসির মুখপাত্র সাইফুর রহমান জানান, স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এ