নিজস্ব প্রতিবেদক :
তালিকাভুক্ত কোম্পানি রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তরের মতো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরআগে সামিট পাওয়ারের একীভুতকরণ বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতায় ডিএসইর একই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও তদন্ত করেছে বিএসইসি।
রহিমা ফুডের মূল্য সংবেদনশীল তথ্যকে ব্যবহার করে এ কোম্পানির শেয়ারে কোনো অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখবে বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটি। বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল বিএসইসির উপপরিচালক আল মাসুম মৃধাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূইয়া ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইকরাম হোসেন। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিটি রহিমা ফুডের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা এবং এ সময়ে শেয়ারটির অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে কিনা তা তদন্ত করবে।
এদিকে স্টক এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশে বিলম্বের অভিযোগ উঠলেও ডিএসইর দুই কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটিতে রাখায় কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডিএসই সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূইয়া লিস্টিং বিভাগের প্রধান, যে বিভাগের বিরুদ্ধে কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বিলম্বে প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া সামিট পাওয়ারের সঙ্গে একই গ্রুপের তিন কোম্পানির একীভুতকরণ বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতায় তার বিরুদ্ধেও তদন্ত করেছে বিএসইসি। এ বিষয়ে প্রয়োজন হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের একটি প্রক্রিয়াও বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগে চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্পূর্ণ শেয়ার হস্তান্তরে রহিমা ফুড করপোরেশনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ নিয়ে কোম্পানি ও দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করছেন বিনিয়োগকারীরা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম