বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে এক পরিবার থেকে চারজন এবং তাঁদের টানা নয় বছর বোর্ডে রাখার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। ব্যাংকের বোর্ড এক পরিবারের কাছে কুক্ষিগত হয়ে পড়বে এবং ব্যাংক থেকে বেনামি ঋণ নেওয়াও বাড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় দৈনিক পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক, প্রকাশক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এসব আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন।
বৈঠকে দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ বলেন, এক পরিবার থেকে চারজন এবং টানা নয় বছর, বিরতি দিয়ে আবার নয় বছরের যে প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন করা হলো, তাতে ব্যাংক খাত অসুস্থ হয়ে পড়বে, পর্ষদ এক পরিবারে কুক্ষিগত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া বেনামি ঋণ বাড়বে। সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির হোতার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, তা এখনো জানতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন এ কে আজাদ।
ইংরেজি দৈনিক নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইন সংশোধন করে ব্যাংক খাতে একচেটিয়াতন্ত্র কায়েমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগে ছিল ২২ পরিবার, এখন হবে না হয় ৫০ পরিবার।
জবাবে অর্থমন্ত্রী খুব বেশি কিছু বলেননি। শুধু বলেন, প্রস্তাবগুলো আসে সাধারণত ব্যাংকের মালিকদের কাছ থেকে। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাংকের মালিকানা পরিবারের মধ্যে থাকার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল মান্নান বলেন, এক পরিবার থেকে চারজনকেই ব্যাংকের পর্ষদে যেতে হবে না। সর্বোচ্চ সীমা রাখা হয়েছে চারজন। দুজনও যেতে পারেন।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় আরও অংশ নেন সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরী, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, এটিএন বাংলার বার্তা পরিচালক জ. ই. মামুন।
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ অানাম , অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম