দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে গত জুলাই মাসেও নিট ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বিদেশীরা। গত মাসে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের পত্রকোষে ৬২৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার আদেশ কার্যকর হয়েছে। এর বিপরীতে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪২৫ কোটি টাকার।
ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ফলে গত ১১ মাসে বিদেশীরা বিক্রির তুলনায় শেয়ার কিনেছেন বেশি। এর মোট পরিমাণ ২ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। এই সময়ে তারা ৩ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার বিক্রির বিপরীতে ৬ হাজার ১১৪ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন।
সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বিদেশীদের সম্মিলিত শেয়ার কেনার তুলনায় বিক্রির পরিমাণ ছিল বেশি। যদিও ব্যবধান ছিল মাত্র ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ওই মাসে বিদেশীদের পত্রকোষে বিভিন্ন কোম্পানির ৩৬৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনার বিপরীতে ৩৭৩ কোটি ১ লাখ টাকার বিক্রি হয়েছিল।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সর্বমোট প্রায় এক হাজার ৫০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। একই সময়ে ডিএসইতে সর্বমোট ২০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার লেনদেন হয়। ক্রয় ও বিক্রয় উভয় দিক বিবেচনায় নিলে ডিএসইর লেনদেনে বিদেশীদের অংশ ছিল মোটের আড়াই শতাংশ।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নিট বিনিয়োগে থাকলেও গত জুনের তুলনায় জুলাই মাসে বিদেশীরা ১০৬ কোটি টাকার শেয়ার কম কিনেছেন। বিপরীতে জুনের তুলনায় ৮৪ কোটি টাকার শেয়ার বেশি বিক্রি করেছেন। জুনে বিদেশীরা ৭৩১ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছিলেন। বিক্রি করেছিলেন ৩৪১ কোটি টাকার শেয়ার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, নিট বিনিয়োগ কমে যাওয়া কোন খারাপ লক্ষণ নয়। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। কেননা বিদেশী বিনিয়োগকারীরা স্থানীয়দের তুলনায় অনেক বেশি বিশ্লেষণনির্ভর বিনিয়োগ করে থাকেন। জুনের পর জুলাই মাসে কিছু শেয়ারের দর অনেকটা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তারা মূলধনী মুনাফা নিয়েছেন। এতে বিক্রি বেড়েছে বলে তারা মনে করেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/শুভ