বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫৭ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করবে এডিএন টেলিকম

adn-telecom-logo-transনিজস্ব প্রতিবেদক :

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে ৫৭ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করবে তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি এডিএন টেলিকম লিমিটেড। ব্যবসা সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন (বিএমআরই), নতুন ডাটা সেন্টার তৈরি এবং ঋণ পরিশোধে এ অর্থ ব্যয় করবে কোম্পানিটি। নতুন নিয়মে তালিকাভুক্তির প্রথম ধাপ হিসেবে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে রোড শো করেছে কোম্পানিটি।

অনুষ্ঠানে এডিএন টেলিকমের ব্যবসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কোম্পানির পরামর্শক আবু সাঈদ খান। রোড শোতে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি, স্টক ডিলার, ব্যাংক, অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিনিধি ও তহবিল ব্যবস্থাপক ও বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আইপিও অর্থ ব্যবহার নিয়ে আবু সাঈদ খান বলেন, সুনাম ও ব্যবসা প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতেই পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করছে এডিএন। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থে কোম্পানির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন (বিএমআরই), নতুন ডাটা সেন্টার তৈরি এবং ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিএমআরইতে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ, ডাটা সেন্টারে ৫ কোটি ৪৯ লাখ, ঋণ পরিশোধে ১৫ কোটি ৯০ লাখ এবং বাকি অর্থ আইপিও খরচ হিসেবে ব্যয় করবে কোম্পানি।

এডিএন টেলিকমের আইপিও প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৭ হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৫২ পয়সা আয় হয়েছে কোম্পানিটির। সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানির মোট রেভিনিউ ৮২ কোটি ৯৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১৩ পয়সা।

এডিএন টেলিকমের ইস্যু ব্যবস্থাপনা কোম্পানি হিসেবে কাজ করবে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। রেজিস্টার টু ইস্যু হিসেবে কাজ করবে রুডস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানিটির নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সাইফুল সামসুল আলম অ্যান্ড কোম্পানি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সর্বোচ্চ ৯০ সর্বনিম্ন ১১ : বসুন্ধরা পেপার মিলের কাট-অফ প্রাইস ৮০ টাকা

basubdaraনিজস্ব প্রতিবেদক :

নিলামে বসুন্ধরা পেপার মিলের কাট-অফ প্রাইস হিসেবে ৮০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। গত ৭২ ঘন্টার (১৬ অক্টোবর বিকাল ৫টা থেকে ১৯ অক্টোবর বিকাল ৫টা) নিলামে এই দর নির্ধারিত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বেলা ৫টায় শেষ হয়েছে এই বিডিং। বিডিংয়ে মোট ৪৭৪ টি প্রতিষ্ঠান দর প্রস্তাব করেছে। আর সর্বোচ্চ দর ৯০ টাকা উঠে এসেছে। সর্বনিম্ন দর ছিল ১১ টাকা আর ২৫ টাকায় সর্বাধিক দর প্রস্তাব করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

গত সোমবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে ১৯ অক্টোবর বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ বিডিংয়ে মোট ৪৭৪টি প্রতিষ্ঠান বিডিংয়ে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৯০ টাকায় সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই দরে আগ্রহী তিনটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের জন্য ২,৭৭,৭০০ টি করে শেয়ার নেওয়ার প্রস্তাব করে। এছাড়া ৮৮ টাকায় বিড করে দুটি প্রতিষ্ঠান, ৮৬ টাকায় দুটি প্রতিষ্ঠান, ৮৫ টাকায় চারটি, ৮৪ টাকায় ২টি প্রতিষ্ঠান, ৮৩ টাকায় একটি প্রতিষ্ঠান, ৮২ টাকায় ৫টি প্রতিষ্ঠান, ৮১ টাকায় ২১টি প্রতিষ্ঠান, ৮০ টাকায় ৫৬টি প্রতিষ্ঠান, ৭৯ টাকায় একটি প্রতিষ্ঠান, ৭৭ টাকায় একটি প্রতিষ্ঠান, ৭৫ টাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠান, ৭৪ টাকায় ১টি প্রতিষ্ঠান, ৭২ টাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠান, ৭১ টাকায় ২টি প্রতিষ্ঠান, ৭০ টাকায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান দর পস্তাব করে।

এছাড়া ৬০ হতে ৬৯ টাকায় মধ্যে মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠান দর প্রস্তাব করে। এর কমে ৫০ হতে ৫৯ টাকা দর প্রস্তাব করে ৫৫টি প্রতিষ্ঠান। ৪০ হতে ৪৯ টাকায় এবং ৩০ হতে ৩৯ টাকায় বিড করে যথাক্রমে ৪১ ও ৬৩টি প্রতিষ্ঠান।

এরপর ২০ টাকা হতে ২৯ টাকায় প্রতিটি অংকে বিড জমা পড়ে সর্বাধিক সংখ্যক। শুধু ২৫ টাকা দর আগ্রহ প্রকাশ করে ১০৯টি প্রতিষ্ঠান।

বিডি শুরু হয় সর্বোনিম্ন ২০ টাকায়। পরে কোনো এক সময় সর্বনিম্ন ১১ টাকায়ও দর প্রস্তাব করে একটি প্রতিষ্ঠান।

বিডিংয়ে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইলিজিবল ইনভেস্টর) ৫ হাজার টাকা বিডিং ফি এবং বিডিং অ্যামাউন্টের ২০ শতাংশ ডিপোজিট করতে বলা হয়। বিডিং পিরিয়ডের পর অফার পিরিয়ড শুরু হবে ২২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ২৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিয়ম অনুসারে, ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ কোম্পানির আইপিওতে তাদের জন্য নির্ধারিত শেয়ারের দরপ্রস্তাব করবে। সর্বশেষ যে দরে নির্ধারিত শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব আসবে, তাই হবে কাট অফ প্রাইস। যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সে দরেই কোম্পানির শেয়ার কিনবেন। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে তা ১০ শতাংশ কম দামে শেয়ার বিক্রি করতে হবে কোম্পানিকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনক্রমে তখন নতুন করে চাঁদাগ্রহণ করবে বসুন্ধরা পেপারস।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বিএ

ডিএসই’র মূল্য পিই রেশিও কমেছে

peনিজস্ব প্রতিবেদক :

সাপ্তাহিক ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ০.০৪ পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬.২৬ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৬.৩০ পয়েন্ট।

ডিএসই’র খাতভিত্তিক পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.৩৮ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২২.৪০ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৯.৩৩ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৩.৪৬ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৫৪ পয়েন্ট, পাট খাতের ৯৯.৮৩ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১৮.৪১ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০.১৪ পয়েন্ট, পেপার ও প্রিন্টিং খাতের মাইনাস ৭৬.৪৬ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৬.৮৫ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ১৩.৪৮ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের ৩৯.৯৪ পয়েন্ট, আইটি খাতের ৩১.০৩ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ১৮.৩৬ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ২৩.৯৫ পয়েন্ট, বীমা খাতের ১৭.৮৪ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতের ২০.১৯ পয়েন্ট এবং বিবিধ খাতের ২৬.৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৮ শতাংশ

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের ব্যাপক বিক্রয় চাপ অব্যাহত থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক লেনদেন কমেছে। একই সময় ডিএসই’র সার্বিক মূল্য সূচক ডিএসইএক্সও কমেছে প্রায় ২৫ পয়েন্ট। ডিএসই’র সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহে ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৫৮৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৭৫৪ কোটি ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৭.৯৬ শতাংশ।

লেনদেন পতনের সাথে পাল্লা দিয়ে সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে কমেছে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচকও। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪.৮৫ পয়েন্ট বা ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০৩৯ পয়েন্টে।

এসময় শরীয়াহ্ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক ডিএসইএস ৪.২৫ পয়েন্ট বা ০.৩২ শতাংশ এবং ডিএস-৩০ সূচক ৯.১৭ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রম ১৩২৯ ও ২১৮৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির বা ৪৭.১৬ শতাংশের, কমেছে ১৫৬টির বা ৪৬.৫৬ শতাংশের আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির বা ৬.২৬ শতাংশের। এসময় ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর উপর ভিত্তি করে লেনদেন হয়েছে ৮৭.৪৯ শতাংশ বা প্রায় ২ হাজার ৫০৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

এছাড়াও ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর উপর ভর করে ৩.৮৪ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির উপর ভর করে ৬.৯৪ শতাংশ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর উপর ভর করে ১৭৩ শতাংশ লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।

সপ্তাহ শেষে টার্নওভারের শীর্ষে উঠে এসেছে ইফাদ অটোস। গত সপ্তাহে এ কোম্পানিটির ১২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসই’র সর্বমোট লেনদেনের ৪.৪৫ শতাংশ। টার্নওভারে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল উত্তরা ব্যাংক। গত ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ১০৭ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৯৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হওয়ায় টার্নওভারে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক।

এছাড়াও টার্নওভার তালিকায় ছিল আমরা নেটওয়ার্ক, লংকাবংলা ফাইন্যান্স, সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, আইডিএলসি ফাইন্যান্স।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ