বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ লাগাতারভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
মঙ্গলবার রাজধানীতে বিমসটেকের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী এক সেমিনার উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ ক্রমান্বয়ে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে যেতে থাকায় এই অঞ্চলের জন্য বিমসটেক বিকল্প ফোরাম হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
অব্যবহৃত সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে বঙ্গোপসাগর উপকূলের সাত দেশের এই জোটকে ‘ফলমুখী সংগঠন’ হিসেবে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এএইচ মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্র ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারকে নিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগ দিচ্ছে, যা আমাদের জন্য অসীম গৌরবের।
‘তবে এর মধ্যে উন্নয়ন ও প্রগতির যে গতি সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের এলডিসি ক্লাবের বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। বিমসটেক হতে পারে এমন বিকল্প’, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৯৯৭ সালে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) গঠিত হয়। ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড এই উদ্যোগ শুরু করে; পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান এতে যোগ দেয়।
স্বাগত বক্তব্যে বিমসটেক মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিমসটেক দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেতু হিসেবে যোগাযোগের অতুলনীয় ভূমিকা রাখছে।
কনফারেন্সে পাঠানো ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বক্তব্য পাঠ করেন তার প্রতিনিধি পিয়ুস শ্রীবাস্তব। বক্তব্যে সুষমা বলেন, বিমসটেক বিশ্বে এক-পঞ্চমাংশ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিশ্রুত সংস্থা। সন্ত্রাসবাদ এ এলাকার সবচেয়ে বড় হুমকি। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই বিভিন্ন খাতে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমান বিমসটেক সভাপতি নেপালের রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. চোপ লাল ভুষাল বলেন, বিমসটেক এমন একটি সংস্থা, যা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে বিশেষ লাভবান করবে। সার্ক ও আসিয়ানের মতো সংস্থাগুলোর সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসটি