মার্চ মাসে একটু বাজারমুখী হওয়ার পর এপ্রিল মাস থেকে আবারও শেয়ারবাজার ছাড়তে শুরু করেন বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা। মে মাসে গিয়ে শেয়ার বিক্রির এই প্রবণতা ‘হিড়িক’ পর্যায়ে ঠেকেছে।
উল্লেখিত মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করেছেন প্রায় দ্বিগুণ। এর আগে অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রয়ারি মাসেও ব্যাপক হারে শেয়ার বিক্রি করেছিলেন তারা। তবে মার্চ মাসে গিয়ে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা থেমেছিলো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব নিয়ে ডিএসই ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনসহ বেশ কিছু ইস্যুকে কেন্দ্র করে এপ্রিল মাসজুড়ে দরপতন অব্যাহত ছিলো। এ কারণে তারা শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়তে শুরু করেন। কিন্তু ইস্যুটি সুরাহা হওয়ার পরও এখনো বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না। বরং দরপতন হয়েই যাচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইসলামী ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক এবং গ্রামীণফোনসহ বড় বড় কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।
ডিএসই’র তথ্য মতে, মে মাসে বিদেশি-প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করেছেন ৬২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার। তার বিপরীতে শেয়ার কিনেছেন ৩৪১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার।
এর আগের মাস এপ্রিলে তাদের লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৩০ কোটি ৭৪ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৪ টাকার। এর মধ্যে ৫২৭ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ৬০২ টাকা শেয়ার বিক্রি বাবদ, আর শেয়ার ক্রয় বাবদ ৫০৩ কোটি ২ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪২ টাকা।
অথচ মার্চে বিদেশিদের মোট লেনদেন হয়েছিলো ৭৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার ২১০ টাকা। এর মধ্যে শেয়ার কিনেছিলেন ৪৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮২ হাজার ৯০৩ টাকা। বিপরীতে শেয়ার বিক্রি করেছিলেন মাত্র ২৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৩০৭ টাকার।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/জেডআর