গ্রামীণ অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অভিভূত ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী

indexস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গ্রামীণ অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অভিভূত বাংলাদেশ সফররত ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। এদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা নিজ চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না। আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি মোদি সরকারে আছি। ভারতের সরকার উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে সোনালি চুক্তি।

মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার বাংলাবাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে ভোলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের আমন্ত্রণে আজ মঙ্গলবার ভোলা সফর করেছেন সুরেশ প্রভু। সফরকালে ভোলার বাংলাবাজারের স্বাধীনতা যাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ক্যাপ্টেন এ বি এম তাজুল ইসলাম (অব.) এমপি, স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, ইসলাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের সিইও নঈম নিজাম উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

বাংলাদেশের পোশাক কারখানা সবচেয়ে নিরাপদ : মার্কিন রাষ্ট্রদূত

garmentsস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ কারখানাগুলো মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট। আজ রাজধানীতে বিজিএমইএ’র দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় বার্নিকাট বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মাধ্যমে এ দেশের লাখো শ্রমিক দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। গত ৫ বছরে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় দেশটির তৈরি পোশাক শিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এর বড় অংশ এ দেশে থাকার কারণে স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছে। আগামীতে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কষ্টার্জিত অগ্রগতিকে ধরে রাখার পরামর্শ দেব।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের মজুরি ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। তিন ধাপে ৩৮১ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ বিগত বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পণ্যের মূল্য কমেছে ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা যেন ‘ফেয়ার প্রাইস’ দেন এ বিষয়টি দেখার জন্য বার্নিকাটের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করার দাবি জানাই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

আরও ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ

electicic-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ভারত থেকে আরও ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। সূর্যমনি-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে জি টু জি-এর আওতায় এই বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। মঙ্গলবার সকালে সিলেটের একটি হোটেলে বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির পঞ্চদশ সভা শেষে এমন তথ্য জানান বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিদ্যুৎ সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। সভায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় ভেড়ামারা ও ত্রিপুরা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা, ভেড়ামারা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অগ্রগতি, এইচভিডিসি ২য় ব্লক নির্মাণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, প্রস্তাবিত কাটিহার-পার্বতীপুর-বড়পুকুরিয়া-বরানগর ৭৬৫ কেভি গ্রিড ইন্টারকানেকশন, বহরমপুর-ভেড়ামারা ৪০০ কেভি ২য় ট্রান্সমিশন লাইন ও সূর্যমনি-কুমিলল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে কুমিল্লায় ব্যাক টু ব্যাক এইচভিডিসি সাব স্টেশন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে সকল ধরনের সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতি প্রদান, রাজনৈতিক কারণে বা ভারতীয় আইন পরিবর্তনজনিত আর্থিক সংশ্লেষের উদ্ভব হলে তা থেকে অব্যাহতি প্রদানসহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিদ্যুৎ রফতানির বিষয়েও আলোচনা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারের অচলাবস্থা কাটাতে বৈঠক

labourস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজারের অচলাবস্থা কাটাতে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জন্য বড় একটি শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে ১০ লাখের বেশি কর্মী কাজ করছে। গেলো দেড় বছরে এসেছে দুই লাখের মতো কর্মী। জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে এই কর্মী আসলেও ১লা সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় এর অনলাইন সিস্টেম এসপিপিএ।

প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায় দুদেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সংক্রান্ত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলা সেগারান নেতৃত্ব দেন।

প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদের আগের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈধ সকল রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

এসময় কুয়ালালামপুরে এক সাক্ষাতে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি জানান, যারা অবৈধ আছে এবং ১০ বছরের বেশি ভিসা দেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

জানা যায়, নতুন অনলাইন সিস্টেম চালুর আগে পাইপ লাইনে থাকাদের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সকল কাজ চলবে। নাম সর্বশ্য নয়, যোগ্য সকল এজেন্সি এই সুযোগ পাবে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. মনিরুস সালেহিন (কর্মসংস্থান), মন্ত্রীর একান্ত সচিব, উপসচিব মোহাম্মদ সাহিন (কর্মসংস্থান), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি ও একজন উপসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মো. সায়েদুল ইসলাম। সূত্র : বিডি প্রতিদিন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

দ্যা ইবনে সিনার শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ ঘোষণা

ibnস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ইবনে সিনা লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার ৩০ জুন ২০১৮ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বছরে ইবনে সিনার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫.৯৭ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৪৩.২১ টাকা।

আগামী ২২ নভেম্বর কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ অক্টোবর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

শিগগিরই বাংলাদেশ শীর্ষ রপ্তানীকারকের কাতারে উঠে আসবে : প্রধানমন্ত্রী

pmস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের পারস্পরিক স্বার্থে ব্যবসা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন নিয়ে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে এই ব্যপারে সরকারের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমার বিশ্বে দ্বিতীয় তৈরী পোষাক রপ্তানীকারক দেশ। এর রপ্তানীর পরিমাণ গত অর্থবছরে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার এবং শিগগিরই বাংলাদেশ শীর্ষ রপ্তানীকারকের কাতারে উঠে আসবে বলে আশা করা যায়।

‘অনুগ্রহ করে, আমাদের অংশীদারিত্বমূলক মুনাফা এবং উন্নয়নের যাত্রায় শরিক হোন। আমি এক্ষেত্রে আমার সরকারের পূর্ণ সাহায্য ও সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করছি,’ -যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে সহজ বিনিয়োগ নীতি বিদ্যমান রয়েছে, যেখানে আকর্ষণীয় প্রণোদনা এবং সর্বোচ্চ মুনাফা লাভেরও সম্ভাবনা রয়েছে।

‘যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কে আইন দ্বারা সুরক্ষা প্রদান, কর অবকাশের মত প্রণোদনা, যন্ত্রপাতি আমদানীর ক্ষেত্রে স্বল্প শুল্ক, কাঁচামাল আমদানীতে আয়কর রেয়াত, টেমিট্যান্স অন রয়্যালটি, শতভাগ বৈদেশিক ইক্যুয়িটি এবং বিনা বাধায় লাভ এবং আসলসহ পুঁজি প্রত্যাবাসন সুবিধা’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যান্য সুবিধার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বেতন-ভাতায় তরুণ, নিবেদিত প্রাণ এবং সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য জনশক্তি, ব্যবসা স্থাপনে স্বল্প ব্যয়, বৃহৎ শুল্ক ও কোটা মুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার, স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ ও পানির সুবিধা, বাংলাদেশের উন্নত ক্রেডিট রেটিংয়ের সুবিধা,স্বল্পতম ঝুঁকি এবং দ্রুত প্রযুক্তির আধুনিকায়ন সুবিধা।

বাংলাদেশের ভৌগলিক কৌশলগত অবস্থানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক কৌশলগত অবস্থান বাংলাদেশকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক আউট সোর্সিয়ের উদীয়মান কেন্দ্রে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমরা এগুলোকে সংযুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ৪শ’ কোটি মানুষের বাজারের একটি প্রবেশ দ্বার হতে পারে এবং দেশটির নিজেরও প্রায় ১৬ কোটি জনগণের একটি শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধনশীল বাজার রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা নেদারল্যান্ডের সরকারের সহযোগিতায় ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ গ্রহণ করেছি, যার লক্ষ্য হচ্ছে বন্যা এবং নদীর ভাঙ্গন রোধ করে পানির নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা টেকসই দু’অংকের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য অবকাঠামো, যোগাযোগ এবং হাইটেক খাতকে বহুমুখীকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, ‘থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে আমরা ব্যাংকিং এবং অর্থনৈতিক খাত, পর্যটন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি।’

সমুদ্র অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন শিল্প কারখানা এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছি, প্রায় দু’ডজন হাইটেক পার্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।’

এ বছরের মার্চ মাসে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে এলডিসি ভূক্ত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ২০০৯ সাল থেকে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি যার লক্ষ্য বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তোরণকে প্রথম পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর লক্ষ্য এখন ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তোলা।
‘বাংলাদেশ এখন আর সাহায্য নির্ভর দেশ নয়, আমাদের অর্থনীতি এখন আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও শ্রম বাজারের সাথে যুক্ত,’-বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সাড়ে ৯ বছরের শাসনামলে দেশে গড়ে ৬ প্রতিবছর ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি গিয়ে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে পৌঁছায় এবং আগামী অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মূল্যস্কীতি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে নেমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে এবং ২০১৮ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ অতীতের থেকে প্রায় ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আর দারিদ্রের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন সাধন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বয়ং সম্পূর্র্ণতা অর্জনের পর বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩য় শীর্ষ সবজি উৎপাদনকারী, ৪র্থ শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী এবং তৃতীয় শীর্ষ মিঠা পানির মৎস উৎপাদনকারী দেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। আমি আপনাদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি উভয়ের পারস্পরিক স্বার্থে আপনাদের ব্যবসা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন নিয়ে বাংলাদেশে আসুন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার্স অব কমার্সের উদ্যোগে গ্রান্ড হায়াত হোটেলে অনুষ্ঠিত এক মধ্যাহ্ন ভোজন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, সাহসী উদ্যোক্তা এবং বিদেশি বিনিয়োগে রপ্তানীর বহুমুখীকরণে তাঁর সরকারের পদেক্ষপ নতুন ক্ষেত্র তৈরীর পথকে সুগম করছে।

দেশের ঔষধ শিল্পের বিকাশের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের ঔষধ এখন অভ্যন্তরের ৯৮ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে ১২৫টিরও বেশী দেশে রপ্তানী হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাহাজ নির্মাণ শিল্প আরেকটি খাত যেখানে আমরা মধ্যম সারির সমুদ্রগামী জাহাজ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের রপ্তানী করছি। বিকাশমান তথ্য প্রযুক্তি খাতে দেশে এখন ১৩ কোটি ৬ লাখ মোবাইল সীম ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রায় ৭ কোটি ৩ লাখ জনগণ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য এবং এই খাতটি বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগকে অবারিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে থাকা ৩২শ’ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা গত মাস নাগাদ ২০ হাজার মেগাওয়াটে এসে দাঁড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় নির্মাণাধীন ২৪শ’ মেগাওয়াট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বৃত্তান্ত তুলে ধরে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান। এরমধ্যে শতকরা ১০ ভাগ বিদ্যুৎ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি থেকে আসবে বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এটা জেনে অত্যন্ত খুশী যে, যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের একক সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার, যার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমান ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ ৭ দশমিক ৫ বিনিয়ন ডলার।

ইটারন্যাশনাল গভর্নমেন্ট রিলেশন্স-এর এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডিন্ট, মেট লাইফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এক্সিলারেট এনাজির্, স্টিফেন কোবোস, ইটারন্যাশনাল গভার্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স-এর ব্রায়ার্ন লোপে, বোয়িং, জেমস ও’ব্রায়েন, এলএনজি’র গ্লোবাল হেড, এওটি এনার্জি, কোকাকোলা’র বি পেরেজ, জিই পাওয়ার-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার, ম্যাকলারী এসোসিয়েটস-এর রাষ্ট্রদূত ত্রেসিটা শেফার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়শী প্রশংসা করেন।

এছাড়াও, ইউএস-বাংলাদেশ গ্লোবাল চেম্বার্স অব কমার্স, কোকাকোলা বাংলাদেশ, অলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপ, মোটোরোলা সলিউশন্স, এপিআর এনার্জি, ড্রিংকঅয়েল, আইবিএম, চিনারি, বাউয়ার গ্রুপ এশিয়া, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল, এক্সন মোবাইল, প্রাগমা সিষ্টেমস, শেভরন, ইউচিউব-গুগল, জিই পাওয়ার, ওয়ালমার্ট ম্যাকলার্টি এসোসিয়েটস, মেড্রোনিক, কোকাকোলা ইন্ডিয়া এন্ড সাউথওয়েস্ট এশিয়া-র জেষ্ঠ্য কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন ইউএস চেস্বার অব কমার্সের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়াল।

প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ গ্রহণ করে ইউএস চেমস্বার নেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সূত্র : বাসস
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

সরকারি কর্মচারীদের ঋণসুবিধা দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

govস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাড়ি তৈরি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য সরকারি কর্মচারীদের ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দিতে চার রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই ঋণের বিপরীতে সরকারি কর্মচারীদের সুদ দিতে হবে ৫ শতাংশ। প্রচলিত বাজার দরে সুদের হার যা-ই হোক না, ৫ শতাংশের বাইরের অংশটুকু রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হবে।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।

সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা এমওইউতে সই করেন। সরকারের দিক থেকে সই করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফরউদ্দীন। ভারপ্রাপ্ত অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ১ অক্টোবর থেকেই ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে। তবে সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বেতন-ভাতা তোলার দিক থেকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, তারাই ঋণের আবেদন আগে করতে পারবে।

অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, সব সরকারি কর্মচারীকে এ ঋণের আওতায় আনতে দুই বছর সময় লেগে যেতে পারে।

গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি কর্মচারীরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে ৫৬ বছর বয়সী কর্মচারীরাও আবেদন করতে পারবেন। চাকরির গ্রেড অনুযায়ী ঋণ দেওয়া হবে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময় ২০ বছর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

  1. খুলনা পাওয়ার
  2. ইফাদ অটোস
  3. এ্যাক্টিভ ফাইন
  4. শাশা ডেনিমস
  5. ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  6. বিবিএস ক্যাবলস
  7. ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স
  8. ইউনাইটেড পাওয়ার
  9. ইনটেক অনলাইন
  10. আমান ফিডস লিমিটেড।

সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন ৫ শ কোটি টাকার নিচে

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ৫ শ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। তবে দিনশেষে ডিএসইতে বেড়েছে সব সূচক। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গত দিনের চেয়ে লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫৮০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের অনেকটা কমেছে।

এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯.৩৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৩৮৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.৬০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৪১ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৮.২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮৯১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৩টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৪০টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৪১টির দর। এদিন ডিএসইতে বেশিরভাগ শেয়ারেরই দর কমেছে।

ডিএসইতে এদিন লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – খুলনা পাওয়ার, ইফাদ অটোস, এ্যাক্টিভ ফাইন, শাশা ডেনিমস, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিবিএস ক্যাবলস, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড পাওয়ার, ইনটেক অনলাইন ও আমান ফিডস লিমিটেড।

এদিকে মঙ্গলবার দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৬.৫১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৫৮১ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার দর।

এদিন লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার ও কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড