একনেকে ১২,৪৫৯ কোটি টাকার ১৩টি প্রকল্পের অনুমোদন

ECNEC-1স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ভারত, নেপাল ও ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ ভোল্টেজের সঞ্চালন অবকাঠামো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৩ হাজার ৩২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন স্থাপন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
একনেক বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন,একনেকে ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১২ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯ হাজার ৪৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৫৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

১৩ প্রকল্পের মধ্যে ১০টি নতুন প্রকল্প এবং ৩টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে বলে তিনি জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,সঞ্চালন লাইন স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভারতের ঝাড়খন্ড প্রদেশে আদানী গ্রুপের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৬’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সহজে আমদানি করা যাবে। আমদানি করা এই বিদ্যুৎ পরবর্তীতে সিলেট,চট্টগ্রামহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো আগামী ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানি গ্রুপের প্রস্তাবিত ১৬’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে নিয়ে আসা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে নেপাল ও ভূটান থেকে সহজে বিদ্যুৎ আমদানি করা।

প্রকল্পের আওতায় বগুড়া-কালিয়াকৈর পর্যন্ত ১৪০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৯ কিলোমিটার যমুনা রিভার ক্রসিং লাইন রয়েছে। কালিয়াকৈরে দু’টি ৪০০ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও পার্বতীপুরে দু’টি ২৩০ কেভি উপকেন্দ্র নির্মিত হবে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,এ সময় এডিপির ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৬২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বাস্তায়নের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ব্যয়ের ছিল ৫৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপন করা হলেও এটি অনুমোদন দেয়া হয়নি। তিনি বলেন,মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিজেদের জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার প্রস্তাব করার কারণে এই প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন,‘সরকার মুক্তিযুদ্ধাদের কল্যাণে বদ্ধপরিকর। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে একটি সংশোধিত প্রকল্প দিতে বলা হয়েছে।’ একনেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে নিয়োজিত বিজ্ঞানীদের ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ,খরচ হবে ৮৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর উপর পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) নির্মাণ, খরচ ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের ২ লেন অংশে (মহিপাল হতে চৌমুহনী পূর্ব বাজার পর্যন্ত)-৪ লেনে উন্নীতকরণ,খরচ হবে ৭৪৭ কোটি টাকা। মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম সংগ্রহ,খরচ হবে ৪৩৫ কোটি টাকা। ঢাকা শহরে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ,খরচ ৩৭৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিস্কাষন উন্নয়ন, খরচ হবে ১ হাজার ৬২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

এছাড়া রয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় ব্রক্ষপুত্র নদের ডানতীরে ভাঙ্গনরোধ,খরচ ৩০২ কোটি টাকা। সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ, খরচ ৬৬২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান,গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ,খরচ ২৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি,খরচ ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং গোপালগঞ্জ এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন খরচ হবে ৭৯৯ কোটি টাকা। সূত্র : বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৩০৯, আতঙ্কে অভিবাসীরা

male-6-20190227194640স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে পুডু বাস টার্মিনাল ও কোতারায় মাইডিন মার্কেটের আশপাশে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে অভিবাসন বিভাগের ১৭৫ জনের একটি টিম। অভিযানে বাংলাদেশিসহ বৈধ-অবৈধ সব মিলিয়ে ৩০৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯০ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী রয়েছেন।

আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের নাগরিকরাও আছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক বাংলাদেশিদের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।

পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগের এই অভিযানে গোটা এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। অনেক বৈধ অভিবাসীও দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। আবার কেউ কেউ অভিযান দেখতে এসেও গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রতিদিনই সেদেশে অবৈধভাবে থাকা শত শত কর্মীকে আটক করছে পুলিশ। বিগত দিনে অভিবাসী শ্রমিকদের আটক করে যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ অভিবাসীদের ছেড়ে দেয়া হলেও এবার বৈধ-অবৈধ সবাইকে ঢালাও আটক করা হচ্ছে।

কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি মাজলান লাজিম সাংবাদিকদের জানান, আটকদের সবাইকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জিজ্ঞাং ও দ্যাং ওয়ানগি থানায় (বালাই) এবং চেরাচ ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ভ্রমণ দলিল, পাসপোর্ট ওয়ার্ক পারমিটসহ সব কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খ চেক করা হবে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ প্রধান আরও বলেন, কুয়ালালামপুর শহরকে অপরাধমুক্ত নিশ্চিত করতে কারো বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কি-না তা চেক করে দেখা হবে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানায়, অভিযানের আগে অবৈধ কর্মীদের বৈধকরণ হতে একাধিকবার সুযোগ দিয়েছে দেশটি। আমরাও আমাদের কর্মীদের বৈধ হওয়ার জন্য নানাভাবে প্রচারণা ও সহযোগিতা করেছি। সতর্কবার্তাও দেয়া হয়েছে কিন্তু এর পরও অনেকে হাইকমিশনের নির্দেশকে উপেক্ষা করেছে বা গুরুত্ব দেয়নি। এখন সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষে দেশটির পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এখানে আমাদের আর কিছুই করার নেই। দেশটি তাদের আইন অনুযায়ী ধরপাকড় বা বহিষ্কার করতে পারে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিরা জানান, বহুদিন মালয়েশিয়াতে থাকার পরও যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, এই ধরপাকড় অভিযান নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়ার পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে। যেখানেই তারা হানা দিচ্ছে, এ খবর পাওয়া মাত্রই কমিউনিটির লোকজন ফেসবুক বা হোয়াটস-অ্যাপে সবাইকে সতর্ক করে মুহূর্তেই বার্তা পাঠাচ্ছেন কিন্তু তাতেও ধরপাকড় এড়ানো যাচ্ছে না। রাজধানী কুয়ালালামপুরে শপিং মল ও তার আশপাশের এলাকায় যারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অবস্থায় কাজ করছিলেন, তাদের অনেকেই এখন কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন এবং আত্মগোপনে রয়েছেন। ভয়ে পালিয়ে থাকা এসব অবৈধ বাংলাদেশিরা অনেকেই অভিযোগ করছেন- কথিত এজেন্টদের হাতে তারা প্রতারিত হয়েছেন। বৈধকরণের সুযোগ নিতে তারা এজেন্টদের কাছে টাকা দিয়েছেন কিন্তু এজেন্টরা টাকা নিলেও কোনো কাজ করেনি।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে জানায়, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯২ কর্মী এবং ৮৩ হাজার ৯১৯ জন নিয়োগদাতা বৈধকরণ প্রকল্পে নিবন্ধিত হয়। নিবন্ধিতদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৩২ জন অবৈধ কর্মীকে বৈধতার অযোগ্য ঘোষণা করা হয় কিন্তু যে তিনটে ভেন্ডর কোম্পানিকে এর দায়িত্ব দেয়া হয়, তাদের নাম ভাঙিয়ে বেশ কিছু নকল এজেন্ট বা দালাল বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও কোনো কাজ না করে তাদের সঙ্গে বিরাট প্রতারণা করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

আবারো বিএবি’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার

najrulস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।

এ নিয়ে টানা পঞ্চমবার বিএবির চেয়ারম্যান হলেন তিনি। আগামী দুই বছর (২০১৯-২১) সময়ে তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংগঠনের ১৯৬তম নির্বাহী কমিটির সভায় তাকে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবু এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিএবি’র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রভাব এশিয়ার শেয়ারবাজারে

indiaস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতকে ঘিরে আজ বুধবার কিছুটা মিশ্র প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে এশিয়ার পুঁজিবাজারে।

আজ লেনদেনের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি, ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তা কিছুটা দূর হওয়ায় আঞ্চলিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ছিল। তবে কাশ্মীরে ভারতের বিমানবাহিনীর দুটি জেটবিমান ভূপাতিত ও একজন বৈমানিককে (পাইলট) আটক করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশের পর দরপতন হতে থাকে এশিয়ার পুঁজিবাজারে।

এই সংবাদের পরপরই এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের শেয়ারবাজারে সূচক কমে যায়। পরে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। লেনদেন শেষে মুম্বাই শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে রুপির মানও কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ সূচক হারিয়েছে ৩ শতাংশ।

ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হয়েছে—এই সংবাদের পর টোকিওর শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় এ শেয়ারবাজার। সূচক কমেছে সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের শেয়ারবাজারে। অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারবাজারে সূচক শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও তাইওয়ানের তাইপে সূচক কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

তিন ব্যাংকের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কারণে সমন্বিত তিন ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। ওই মৌখিক পরীক্ষা ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এসব ব্যাংক হচ্ছে সোনালী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন উপল‌ক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় বন্ধ থাকবে। তাই আগামীকাল বেলা ১১টার পরীক্ষা ১৬ এপ্রিল ১১টায় ও বেলা আড়াইটার পরীক্ষা ১৬ এপ্রিল বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

লাফার্জ হোলসিমের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

lafarge-holcim-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট শিল্প খাতের কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার অনুষ্ঠিত বাের্ড সভায় গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৯৬ টাকা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৩.৪১ টাকা।

আগামী ১৬ মে কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ মার্চ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

ব্লক মার্কেটে ৫০ কোটি টাকার লেনদেন

dseস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৫০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আজ ব্লক মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর ৯৫ লাখ ৮১ হাজার ১৩১টি শেয়ার ২৪ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫০ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

আজ ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের। কোম্পানিটির ১৭ কেটি ১ লাখ ২৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ডরিন পাওয়ারের।

এছাড়া বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকার, বিডিকমের ১৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ১৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৬৯ লাখ টাকার, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৯ লাখ ৫২ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার, রূপালী ব্যাংকের ১০ লাখ টাকার, সায়হাম কটনের ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, শাশা ডেনিমসের ৪০ লাখ টাকার, সিমটেক্সের ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার এবং তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৯৯ রাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কোকাকোলার বোতলে বিতর্কিত বাংলা শব্দের ব্যবহার বন্ধ চেয়ে রিট

courtস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কোকাকোলার বোতলে বিতর্কিত বাংলা শব্দের ব্যবহার বন্ধ ও এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনটি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন।

রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব ও বাংলা একাডেমী সহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্যাংকিং খাতে গত এক বছরে খেলাপি ঋণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এর আগে এক বছরে কখনও এত বেশি মন্দ ঋণ বাড়েনি। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা—যা মোট ঋণের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, ডিসেম্বর শেষে ৫৭টি ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। রাইট অফ করা ঋণ খেলাপি ঋণের সঙ্গে যোগ করলে মোট খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যাবে। হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা—যা ওই বছরের বিতরণ করা ঋণের ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০১৬ সালে এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা, ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকা, ২০১৪ সালে ছিল ৫০ হাজার ১৬০ কোটি টাকা এবং ২০১৩ সালে খেলাপি ঋণ ছিল ৪০ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত বছরেই সবচেয়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।

প্রান্তিকের হিসাব দেখলে সাধারণত, ডিসেম্বর প্রাপ্তিকে আগের প্রান্তিকের চেয়ে খেলাপি ঋণ কমে যায়। গত বছরেও একই ঘটনা ঘটেছে। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন। কারণ, জাতীয় নির্বাচনের আগে খেলাপিদের থেকে বড় একটা অংশ ঋণ আদায় হয়। অবশ্য গত নির্বাচনের আগে এক শ্রেণির ঋণ খেলাপিদের ব্যাপকহারে ঋণ নবায়ন করা হয়েছে। এরপরও ডিসেম্বর প্রান্তিকে আগের প্রান্তিক সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ কিছুটা কমেছে। সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণ হয়েছিল ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। যা ছিল মোট বিতরণ হওয়া ঋণের ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ওই সময়ে ব্যাংকগুলো ৮ লাখ ৬৮ হাজার সাত কোটি টাকা বিতরণ করেছিল। আর রাইট অফ (অবলোপন) করা ঋণ খেলাপি ঋণের সঙ্গে যোগ করলে যা দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব, ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের চাপ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের অভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। এক্ষেত্রে সুদের হারও খেলাপি ঋণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। সম্প্রতি ব্যাংক খাতে সুদের হার কমেছে বলে ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বাস্তবে তা খুব একটা কমেনি। যতটুকু কমেছে তার সুফল নিয়ে গিয়েছে ব্যাংকের উদ্যোক্তারাই। ব্যাংকরে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের মধ্যে যাদের ঋণ অন্য ব্যাংকে আছে তাদের সবার ঋণে সুদহার কমলেও সাধারণ গ্রাহকদের ঋণে সুদহার কমেনি। এসব কারণে লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সময় যত যাচ্ছে খেলাপি ঋণের নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকই রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকের। ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা। এ সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণ করা ঋণ এক লাখ ৬২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের ২০১৮ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা—যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এই সময় তাদের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা

অন্যদিকে, খেলাপি ঋণ বেড়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও। ডিসেম্বর শেষে ৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৩৮ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। অবশ্য আগের প্রান্তিক থেকে এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সামান্য কমেছে। আর দেশে পরিচালিত ৯টি বিদেশি মালিকানার ব্যাংকে ২০১৮ শেষে মোট ৩৫ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা বিতরণ করে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। যা বিতরণ হওয়া ঋণের ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে টেক মাহিন্দ্রা’

Palak-Techshohorস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

‘টেক মাহিন্দ্রা’ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) টেক মাহিন্দ্রা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সিপি গুরনানির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ কথা জানান তিনি।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি তথা ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি বিষয়ে তাকে অবহিত করেন। আজ বুধবার এক তথ্যবিবরণীতে এ কথা বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম,বিশেষ করে আইসিটিখাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য হাইটেকপার্ক স্থাপন,আইটি সরঞ্জামাদি আমদানি-রফতানির ওপর শুল্ক হ্রাস/প্রত্যাহারসহ গৃহীত বিভিন্ন বিষয়েও তাকে অবহিত করেন প্রতিমন্ত্রী।

পলক গুরনানিকে প্রযুক্তিখাতের সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করে বাংলাদেশে আইসিটি খাতে টেক মাহিন্দ্রাকে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।

এসময় প্রতিমন্ত্রী মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন দেখেন। তিনি জেডটিইর রোবোট প্রদর্শনীতে ভবিষ্যতে রোবোটিক্সে কি ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে তা সম্পর্কে ধারণা নেন।

দেশের স্টার্টআপদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিতে সম্প্রতি পলক যুক্তরাষ্ট্র সফরে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। এছাড়াও তিনি দেশের স্টার্টআপগুলোকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ পেতে সহায়তা করতে পারে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও সমঝোতা চুক্তি করেছেন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/