মোট ঋণের ২ শতাংশ এককালীন জমা দিয়ে একজন ঋণখেলাপি ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ পাবেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নীতিমালা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন মুনীরুজ্জামান।
এক রিটের ধারাবাহিকতায় এই নীতিমালার ওপর হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ৮ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন। একই সঙ্গে ওই নীতিমালার সুবিধাভোগীরা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনকারী পক্ষ সম্পূরক আবেদনটি করে, যার ওপর আজ শুনানি হয়।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রুল দিয়ে ৩১ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড