ভাইরাস সঙ্কটে শ্রমিকদের বেতন দিতে সরকার যে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল করেছে, সেখান থেকে ঋণ নিতে আবেদন করেছেন ২ হাজার ২০০ কারখানার মালিক।
এরমধ্যে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ৬১৫টি; বিকেএমইএভুক্ত ৫৫০টি। বাকি ৩৫টি ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত পোশাক কারখানা।
৪৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে এই কারখানাগুলোর মালিকদের ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ঋণ পেতে আবেদন জমা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।
আবেদনের বিপরীতে ইতোমধ্যেই ২ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
তিনি সোমবার তিনি বলেন, “২ মে ছিল আবেদনের শেষ দিন। সেই সময় পর্যন্ত মোট ২ হাজার ২০০টি আবেদন জমা পড়ে। যার বিপরীতে টাকার অঙ্কে দাবি করা হয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
“ইতোমধ্যে ২০০ হাজার কোটি টাকা ছাড়া করা হয়েছে। বাকিটা দু-একদিনের মধ্যেই ছাড় করা হবে।”
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সচিব মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, তাদের সংগঠনভুক্ত ১ হাজার ৬১৫ জন কারখানা মালিক প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ দিতে আবেদন করেছেন।
টাকার অঙ্কে কত- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে বলা যাবে না। হিসাব করে বের করতে হবে।”
নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান বলেন, “আমাদের বিকেএমইএ থেকে ৫৫০ জনের মতো আবেদন করেছেন।” টাকার অঙ্ক তিনিও বলতে পারেননি।
৪৬টি ব্যাংকের ৩ হাজার ৪৭ কোটি টাকার মধ্যে ৫৪০ কোটি টাকা চাহিদা দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। ১২২টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি দিতে এই টাকার আবেদন করেছে ব্যাংকটি।
সাউথইস্ট ব্যাংক ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য ৪৪০ কোটি টাকা চেয়েছে বলে জানা গেছে। অন্য ব্যাংকগুলোর তথ্য পাওয়া যায়নি। সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
স্টকমার্কেটবিডি.কম/