‘অর্থনৈতিক গতি বাড়াতে লজিস্টিক সাপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ’

dcciস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

‘দেশের অর্থনৈতিক গতি বাড়াতে লজিস্টিক সাপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়ক, রেলের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের এরি লজিস্টিক্স সাপোর্ট প্রয়োজন।

রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার সহযোগিতা করছে, কিন্তু এর কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। রপ্তানির ক্ষেত্রে এক মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ কম হয়, এতে রপ্তানিতে বাধা তৈরি হয়। ’

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘লজিস্টিক্স ইস্যু অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ ইন ক্রস-বর্ডার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে এসব মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

সেমিনারে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে আমাদের নিজেদের ইনডেক্স থাকা দরকার। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সহযোগিতা করতে হবে। আমরা নিজেদের শুধু সমালোচনা করি, কিন্তু এর মধ্যে অনেক ইতিবাচক দিক আছে, যেগুলো তুলে ধরা যায়। আমরা আগের তুলনায় এগিয়েছি তা যথেষ্ট নয়। রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা করা হয়। কিন্তু সেখানে যে খরচ লাগে ২৯০ ডলার আর আমাদের লাগে ৪শ ডলার। একটি বিষয়ে তাদের খরচ ৩৭৩ ডলার আর আমাদের ৯শ ডলার প্রয়োজন হয়। আবার শিপমেন্টে আমাদের অনেক সময়ের প্রয়োজন যেখানে তারা কম সময়ে করতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের বন্দর বিষয়েও সমস্যা তৈরি হয়। পেট্রোপোল আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর সেখানে এক মাস আগে বেনাপোলের অজুহাতে বন্ধ হলো। সেটার সমাধান পেতে তিন দিন সময় দরকার হয়। আবার রপ্তানির ক্ষেত্রে এক মন্ত্রণালয় থেকে আরেক মন্ত্রণালয়ে যেতে হয়। সেখানেও সভা যথাসময়ে হয় না। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।

ড. জাইদি সাত্তার বলেন, লজিস্টিক্স পারফর্ম হলে সবার জন্য ভালো। সড়ক ও রেলের কানেক্টিভি বাড়াতে হবে। পলিসি সাপোর্ট পেলে পোশাকশিল্প তৈরি পোশাকের (আরএমজি) মতো আরও অনেক পণ্য রপ্তানি হবে। প্রয়োজনে ইনসেনটিভ দিতে হবে ও রপ্তানি বাড়াতে হবে।

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের শিপটমেন্টের জন্য শিল্প, বাণিজ্য, অর্থ মন্ত্রণালয়ে যেতে হয়। এখানে সময়ের সমন্বয় হয় না। আবার আমাদের পোর্টের সক্ষমতা বেড়েছে তবে, লজিস্টিক্স সাপোর্ট কম। এটা দেখতে হবে। আমাদের এখানে ১০ হাজার ট্রাক আসছে। অথচ কোন ট্রাক টার্মিনাল নেই। ফলে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে আটলেন করতে হবে ও রেলের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার সহযোগিতা করছে। কিন্তু এর কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। রপ্তানির ক্ষেত্রে এক মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ কম হয়, এতে রপ্তানিতে বাধা তৈরি হয়। পাশাপাশি আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আনতে হবে, কানেক্টিভিটি বাড়াতে হবে। সবাই মিলে দেশের জন্য এক হয়ে কাজ করলে অর্থনেতিক অবস্থান আরও দৃঢ় হবে।

কাস্টমস কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, কাস্টম অটোমেশনে চলে গেছে। আমরা ছাড়পত্র দিলেও কানেক্টিভিটির জন্য সমস্যা তৈরি হয়। একটা রোডের উন্নয়নে তিন বছর লাগে যায়। এসব বিষয়ে আরও ভাবতে হবে।

চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটির সদস্য জাফর আলম বলেন, বন্দরের কাজ শুধু কুলির মতো লাগেজ আনা-নেওয়া করা। এর মধ্যে কি আছে জানতে পারে না, কোনটির গুরুত্ব কি জানা থাকে না। আমরা ওপরের আদেশের অপেক্ষায় থাকি। তবে, পোর্টের সক্ষমতা এখন অনেক বেড়েছে। ২০০৯ সালে যেখানে ১০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেল করা হতো, এখন তা ৩০ লাখে করা হয়। তবে, বন্দর থেকে ট্রাক বের হয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া যানজটেও পড়ে হয়। সেটাও সমাধান করতে হবে।

ডিসিসিআইর সভাপতি শামস মাহবুবের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সেলিম রায়হান। বক্তব্য রাখেন ড. এম মাসরুর রিয়াজ, সামির সাত্তার, ডিসিসিআইর সহ সভাপতি এন কে এ মবিন প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশের ইলিশের দামে অসন্তুষ্ট পশ্চিমবঙ্গবাসী

HILSAস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ গেছে ৫শ টনেরও বেশি। একে বাংলাদেশ সরকারের দুর্গা পূজার উপহার হিসেবেই দেখছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। তবে চড়া দাম নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন কলকাতার ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, ডায়মন্ড হারবারের ইলিশের সাইজ গত কয়েকদিন ধরে ছোট আসছিল। এই সপ্তাহে তাও মেলেনি। আমদানিও কম। তাই ইলিশ যেমন খুচরো বাজারে ২ হাজার রুপি পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইজ ছোট হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইলিশের দর ৮০০-র নিচে নামছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, শিলিগুডির নিয়ন্ত্রিত বাজারে বাংলাদেশ এবং ডায়মন্ড হারবার মিলিয়ে এখন রোজ প্রায় ৩ টন ইলিশ মাছ আসছে। বাংলাদেশের ইলিশের গ্রাহক আলাদা। কিন্তু রবিবার বাজারে অনেকেই কিছুটা কমে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ নেবে বলে ঠিক করেছিল। তা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ না মেলায় এদিন মন খারাপ মধ্যবিত্তের।

এদিকে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে বেনাপোল-পেট্টাপোল সীমান্ত দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান প্রবেশ করে মমতার রাজ্যে। ২০ টন দিয়ে শুরু হলেও সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিনই এসেছে এই ইলিশ। সবশেষ সোমবার রাতে এসেছে ৯০ টন।

ইলিশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সূত্রমতে, ১৪৫০ টন ইলিশের মধ্যে এ পর্যন্ত এসেছে ৫১০ টন। বাকি ইলিশ ১০ অক্টোবরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছাবে। সূত্র: আনন্দবাজার

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

শেয়ারহোল্ডারদের নিকট লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ইসলামী ব্যাংক

islamiস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সমাপ্ত হিসাব বছরের নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যাংকটি নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে। এছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের লভ্যাংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিওএস সার্কুলার অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে বিতরণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর,২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/কেএ

বিড়ির শুল্ক কমাতে অর্থমন্ত্রীকে ১০ এমপির চিঠি

cigarateস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিড়ির শুল্ক কমানোর জন্য সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ১০ জন সংসদ সদস্য। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংসদ সদস্যদের সম্মতিক্রমেই জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের এই বাজেট।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এবারের বাজেটে বিড়ির উপর কোনো শুল্কই বাড়ানো হয়নি। বিগত চার বছরের মতো এই বাজেটেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে বিড়ির সম্পূরক শুল্ক। এ অবস্থায় বিড়ি কোম্পানির প্ররোচণায় এমপিদের এই তৎপরতা নজিরবিহীন এবং প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

  1. বেক্স ফার্মা
  2. ব্র্যাক ব্যাংক
  3. স্কয়ার ফার্মা
  4. বেক্সিমকো লিমিটেড
  5. রূপালী ইন্স্যূরেন্স
  6. সিঙ্গার বিডি
  7. এফবিএফআইএফ মি. ফা.
  8. নিটল ইন্স্যূরেন্স
  9. পূরবী জেনারেল ইন্স্যূরেন্স
  10. বিডি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

ওয়ালটন হাই-টেকের ৩য় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

waltonস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এই প্রান্তিকে (জানু-মার্চ, ২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.১৭ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১.১৪ টাকা।

আর (জুলাই ১৯-মার্চ, ২০) এ ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫.৫৩ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২২.২৬ টাকা।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৬৭.০১ টাকা। যা ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ছিল ২২৬.৩৮ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/কেএ

প্রকল্প পণ্যের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকার নির্দেশ

govস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রকল্পের পণ্য-দ্রব্যের ক্ষেত্রে যাতে অস্বাভাবিক বাজার মূল্য দেখানো না হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর বাজেটে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরে প্রকল্প গ্রহণের জন্য ‘অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত-সাধারণত থোক বরাদ্দ’ খাতে এবং প্রক্ষেপণের অর্থবছরে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় সংশ্লিষ্ট অর্থবছরসমূহে সিলিং (ব্যয়সীমা) বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ করছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ের সঙ্গে চলমান প্রকল্পের বরাদ্দ সামঞ্জস্যতা থাকছে না। এছাড়া সিলিংবহির্ভূত প্রকল্প গ্রহণ করায় সব প্রকল্পে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের বাইরে প্রকল্প গ্রহণ সরকারের সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এমতাবস্থায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে ছয়টি বিষয়ে সজাগ থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে তাদের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত সিলিংয়ের মধ্যে থেকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

বিনিয়োগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের প্রকল্পে আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে।

প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করা, যাতে কোনো পণ্য-দ্রব্যের অস্বাভাবিক বাজারমূল্য প্রদর্শিত না হয়।

জি-টু-জি (সরকার-টু-সরকার) ভিত্তিতে গৃহীত প্রকল্পে জিওবি অর্থে পরামর্শক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

প্রকল্প বাছাই/অনুমোদনের সময় বিষয়গুলোতে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

রাষ্ট্রীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে আগেই অর্থ বিভাগের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।

সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীন সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রকল্পের পণ্য-দ্রব্যের অতিরিক্ত ব্যয়ের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে, যা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ নির্দেশনা এলো।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

খেলাপি ঋণ কমাতে টিআইবির ১০ সুপারিশ

tibস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুস্থ ও নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনায় এ খাত-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠন করাসহ ১০ দফা সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

tibআজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‘ব্যাংকিং খাত তদারকি ও খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ: বাংলাদেশ ব্যাংকের সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ করা হয়।

গত এক দশকে ব্যাংকিং খাতে চলমান অস্থিরতা ও নৈরাজ্য তথা অনিয়ম-দুর্নীতি, ঋণ জালিয়াতি, খেলাপি ঋণের উচ্চ হার, মূলধনের অপর্যাপ্ততা, উচ্চ সুদের হার, তারল্য সংকট ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন গণমাধ্যমে বহুলভাবে প্রকাশিত হয়। ব্যাংকিং খাত থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমানতকারী তথা সাধারণ জনগণের অর্থ দীর্ঘদিন ধরেই খেলাপি ঋণের মাধ্যমে আত্মসাৎ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব থেকে উত্তরণে টিআইবি একটি গবেষণা চালিয়ে এসব সুপারিশ করেছে।

সুপারিশগুলো হলো-
১. ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ ও ব্যাপক অনিয়মে জর্জরিত ব্যাংকিং খাত সংস্কারের জন্য এ খাত-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন করতে হবে।

২. ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’ এর ৪৬ ও ৪৭ ধারা সংশোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংককে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির পূর্ণ ক্ষমতা দিতে হবে।

৩. বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ ও অপসারণ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লিখিত নীতিমালা করতে হবে; যেখানে নিয়োগ অনুসন্ধান কমিটির গঠন, দায়িত্ব-কর্তব্য এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে।

৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে তিনজন সরকারি কর্মকর্তার স্থলে বেসরকারি প্রতিনিধির (সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ যেমন আর্থিক খাত ও সুশাসন বিষয়ক) সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

৫. ব্যাংক সংশ্লিষ্ট আইনসমূহে আমানতকারীর স্বার্থ পরিপন্থী ও ব্যাংকিং খাতে পরিবারতন্ত্র কায়েমে সহায়ক সকল ধারা সংশোধন/বাতিল করতে হবে (যেমন, একই পরিবারের পরিচালক সংখ্যা, পরিচালকের মেয়াদ, পর্ষদের মোট সদস্য সংখ্যা হ্রাস করা ইত্যাদি)।

৬. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগে অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে একটি প্যানেল তৈরি এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগের বিধান করতে হবে। রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাংক পরিচালক হওয়া থেকে বিরত রাখার বিধান এবং ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি নজরদারির মাধ্যমে অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশপ্রাপ্ত খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশনিং রাখার বিধান প্রণয়ন করতে হবে।

৮. বারবার পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করে বারবার খেলাপি হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

৯. ব্যাংক পরিদর্শনের সংখ্যা ও সময়কাল বৃদ্ধি করতে হবে; প্রত্যক্ষভাবে পরিদর্শন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভাগসমূহের শূন্য পদসমূহ অবিলম্বে পূরণ করতে হবে; পরিদর্শন প্রতিবেদন যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত ও এর সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সীমিত হলেও পরিদর্শনে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা পরিদর্শন দলকে দিতে হবে।

১০. তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি ও বাস্তবায়নে সংঘটিত অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা ও নির্বাহী ব্যবস্থাপনা ড. সুমাইয়া খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।

স্টকমার্কেটবিডি.

এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

mutualfundsস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর,১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

আলোচ্য প্রান্তিকে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে দশমিক ৪৪৪৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল দশমিক ১৬৬২ পয়সা।

অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা সর্বশেষ ৯ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে দশমিক ৮৫৬৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দশমিক ৫৯১৪ পয়সা।

তিন প্রান্তিকে ফান্ডটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৭৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪৫ পয়সা।

গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে ফান্ডটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ছিল ৯ টাকা ৪৫ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রান্তিক প্রকাশ

mutualস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান প্রথম প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর,১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

আলোচ্য প্রান্তিকে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিইউ) হয়েছে দশমিক ৭৬৬৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল দশমিক ০৮৪৫ পয়সা।

তিন প্রান্তিকে ফান্ডটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ১১ পয়সা।

গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে ফান্ডটির বাজার মূল্য অনুযায়ী ইউনিট প্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/