একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। মহামারি করোনার মধ্যেই রিজার্ভ এবার ৪১ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এই রিজার্ভ দিয়ে ১০ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। মূলত রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই রিজার্ভ এই অবস্থানে পৌঁছেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলেও জানিয়েছেন বংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভে ১০০ কোটি ডলার যোগ হয়ে নতুন এই উচ্চতায় পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ০৩ বিলয়ন বা ৪ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। এর আগে গত ৭ অক্টোবর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। এ নিয়ে মাত্র সাড়ে ৪ মাসের ব্যবধানে ৮ বার নতুন মাইলফলক অতিক্রম করল রিজার্ভ।
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রণোদনা দেওয়ার ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শুরু থেকে প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বাড়তে থাকে। তবে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার প্রভাবে গত অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে রেমিট্যান্সের গতি কিছুটা নিম্নমুখী হয়ে পড়েছিল। তবে রোজার ঈদের মাস মে থেকে আবার ঊর্ধ্বগতি ধারায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অক্টোবর মাসেও বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাছিয়েছেন প্রবাসীরা। এর পরিমাণ প্রায় ১৮০ কোটি থেকে ২০০ কোটি ডলার। তবে পুরো মাসের প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাবে ১ নভেম্বর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৬৭১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২১৯ কোটি ডলার বা ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। এর আগে তিন মাসে কখনো এতো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আসে ২১৩ কোটি ডলার। এ ছাড়া আগস্ট মাসে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার এবং জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৯৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ে চেয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসেই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ
স্টকমার্কেটবিডি.কম/