ব্লক মার্কেটে ২৪ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩২ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬১৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ব্রাক ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

আমরা নেটওয়ার্কস ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আমান কটন ফাইবার্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিকন ফার্মা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ড্রাগন সোয়েটার, আইএফআইসি ব্যাংক, জনতা ইন্স্যুরেন্স, কোহিনুর কেমিক্যাল, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, খুলনা প্রিন্টিং, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং, মুন্নু সিরামিকস, এনসিসি ব্যাংক, ফনিক্স ফিন্যান্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক, রেনেটা, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সী পার্ল বীচ, সিঙ্গারবিডি, এসএস স্টিল, ট্রাস্ট ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

স্টাইলক্রাফটের ঋণমান “বিবিবি ১”

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্টাইলক্রাফট লিমিটেডের ঋণমান এসেছে “বিবিবি ১”। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সম্প্রতি এই ঋণমান প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিআরএবি)।

২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআরএবি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বারাকা পাওয়ারের ঋণমান “এএ ১”

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের ঋণমান এসেছে “এএ ১”। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সম্প্রতি এই ঋণমান প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিআরএবি)।

২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআরএবি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো ফার্মা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আজ মঙ্গলবার কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার।

তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ২০ লাখ টাকার।

লেনদেনের তালিকার কোম্পানিগুলো হচ্ছে- রূপালী ইন্স্যুরেন্স ২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ২৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার, আইএফআইসি ব্যাংক ২৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ২৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, এস.এস. স্টিল ২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ম্যারিকো বাংলাদেশ ২১ কোটি ৪ লাখ টাকার ও ফরচুন সুজ লিমিটেড লেনদেন হয় ১৯ কোটি ৯২ লাখ টাকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

দিনশেষে কমেছে সূচক ও লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে লেনদেন কমলেও সূচক বেড়েছে। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়

মঙ্গলবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩.৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫১২৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৬.৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮০৬ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ৯৭৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৫৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৫টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৯টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৭২টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, আইএফআইসি ব্যাংক, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এস.এস. স্টিল, ম্যারিকো বাংলাদেশ ও ফরচুন সুজ লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৬২.৬০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৭২৩ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৭৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ১২৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা ও বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বন্দরে পড়ে থাকা গাড়ির নিলাম স্থগিতের দাবি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বন্দরের জট কমাতে ও রাজস্ব আহরণে বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা গাড়ির নিলাম স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। গাড়ি ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটির অভিযোগ, আমদানিকারকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা কোনো ধরনের সুযোগ না দিয়েই দ্রুত সময়ের মধ্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কয়েকশ গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও চার হাজার গাড়ি নিলামে তোলা হবে বলেও অভিযোগ সংগঠনটির।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে বারভিডা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা গাড়িগুলোর নিলাম স্থগিতকরণ, করোনা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির ফলে সরকারের আর্থিক প্রণোদনার আবেদন এবং বারভিডা লেভি আদায় কার্যক্রমে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক। এ সময় রিকন্ডিশন্ড মোটরযানখাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল হক বলেন, ‘বারভিডার আমদানি করা যেসব গাড়ি বেশি সময় ধরে বন্দরে রক্ষিত আছে সেগুলো সম্প্রতি মোংলা কাস্টম হাউসে অনেক কম মূল্যে নিলামে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। করোনা মহামারির ফলে দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিখাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকার প্রদত্ত আর্থিক প্রণোদনা আমাদের জন্য খুব জরুরি। এছাড়াও বারভিডার বিভিন্ন কল্যাণমুখী কার্যক্রম ও সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে যথাযথ ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে সংগঠনের আর্থিক সক্ষমতা উন্নয়নে মোংলা বন্দরে চলমান বারভিডা লেভি আদায় কার্যক্রমটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য মহলবিশেষ হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মোংলা বন্দরের গাড়ি ধারণক্ষমতা ১০ হাজার, সেখানে আমদানিকারকদের গাড়ি রয়েছে মাত্র ৬ হাজার। এসব গাড়ির মধ্যে কয়েকশ গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও চার হাজার গাড়ি নিলামে তোলা হবে। নিলাম একটি চলমান প্রক্রিয়া, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে নিলাম হলে আমদানিকারকদের জানানো বা যে ছাড় দিয়ে নিলাম ডাকা হচ্ছে সেটা আমদানিকারকদের দিলে তারা বেশি উপকৃত হতো।’

আবদুল হক বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির সময় এপ্রিল ও মে মাসে ৪০০ শো-রুম বন্ধ থাকায় আমাদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ সরকারের বিশেষ প্রণোদনা থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। ব্যাংকে গেলে আমাদের বলা হয়, “সেবা ও শিল্প খাতে আপনারা নাই তাই ঋণ দেয়া হবে না”। এ অবস্থায় ব্যবসায় ক্ষতি কাটাতে আমাদের এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানাই।’

এই প্রণোদনা দেয়া হলে গাড়ি ব্যবসায়ীরা সরকারকে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব দিতে পারবেন বলেও উল্লেখ করেন বারভিডা সভাপতি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ব্রোকার হাউসের বুথ খোলার আবেদন আহবান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগাকারীদের সহজে বিনিয়োগে আনতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রোকার হাউসের ডিজিটাল শাখা বা বুথ খোলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেশের যে কোনো স্থানে এই বুথ খোলার জন্য প্রয়োজনীয় আবেদন আহবান করেছে বিএসইসি।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসই) কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিজিটাল শাখা খুলতে করণীয় নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল শাখার জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। ওইসব বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্বারা পরিচালনা করা যাবে না।

সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ সদর দফতরে ডিজিটাল শাখা খোলা যাবে। এছাড়া দেশের বাইরেও একই জাতীয় স্থানে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। দেশের বাইরে খোলার ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদনের পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিতে হবে।

ডিজিটাল শাখা পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে বলে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

দেশের ভেতরে প্রতিটি শাখা খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে এক লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে দেশের বাইরে খোলার জন্য দিতে হবে ১০ লাখ টাকা।

দেশের বাইরে বুথ খোলার ক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির জন্য এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। যা ব্রোকার হাউসের পর্ষদের মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো পরিচালকের স্বাক্ষরিত হতে হবে।

শাখা চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এছাড়া প্রতিটি বুথে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য একটি ফোন নম্বর, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক সুবিধা, কমপক্ষে একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি, ভার্চ্যুয়াল ট্রেডিং মনিটর বা ডিসপ্লে টিকার ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর বুথের সামনে সাইনবোর্ড থাকবে, যেখানে স্টক ব্রোকারের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, স্থানীয় ঠিকানার বিস্তারিত তথ্য, যোগাযোগ নম্বর ও মেইল এড্রেস থাকবে।

প্রতিটি শাখা অ্যাকাউন্ট খোলা ও বন্ধ, ট্রেডিং ইত্যাদি সীমাবদ্ধ হবে। যেখানে একজন গ্রাহক প্রতিদিন গ্রামীণ এলাকায় নগদে ২ লাখ টাকা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবেন। শাখা থেকে গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে ব্রোকার হাউস থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে শাখার ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করার আগে এক বা একাধিক বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আইসিসিবির ২৫ তম বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সের সাথে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধির হার রেকর্ড করেছে. যা দারিদ্রতা এবং সামাজিক বৈষম্য কমাতে সহায়তা করেছে, গত ১৪ই ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আইসিসি বাংলাদেশের ২৫ তম বার্ষিক কাউন্সিলে নির্বাহী বোর্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে আইসিসি বাংলাদেশেস সভাপতি মাহবুবুর রহমান একথা বলেছেন। আই-এল-ও-র প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেছেন যে বাংলাদেশ এখন মহামারী ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে লড়াই করছে।এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক ঝুঁকিগুলি কেবল স্বল্প মেয়াদে সীমাবদ্ধ নয়, শ্রম ও মূলধন উভয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতের বড় উৎপাদনের দিকেও প্রসারিত। অর্থনৈতিক সঙ্কট করপোরাল এবং গৃহস্থালি ঋণ খেলাপির মাধ্যমে আর্থিক সংকটে রূপান্তরিত হতে পারে বলে আইসিসি বাংলাদেশের প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির মতো বাংলাদেশকে কাঙ্খিত জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বেশ কয়েককটি মূল সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে: যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, টেকসই রফতানি, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং রেমিটেন্স প্রবাহ। বাংলাদেশে প্রায় ৭.৮ মিলিয়ন এন্টারপ্রাইজেজ রয়েছে যার ৯০ শতাংশই মাইক্রো এন্টারপ্রাইজেজ। জিডিপিতে এই মাইক্রো এন্টারপ্রাইজগুলোর অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ যার পরিমাণ প্রায় ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যবসার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারনে এই মাইক্রো এন্টারপ্রাইজগুলো চাপের মধ্যে পড়েছে। উপরন্তু, অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রচন্ড ধাক্কা খেয়েছে। আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প খাতে দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৩০ শতাংশ সম্পৃক্ত।

বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তীর্ন হলে প্রধান রপ্তানী দেশগুলোতে বাণিজ্য অগ্রাধিকারসহ অন্যান্য অগ্রাধিকার হারাবে। সুতরাং বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রধান রপ্তানী দেশগুলোর সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির উপর জোর দিতে হবে, মাহবুবুর রহমান বলেন।

আইসিসিবির নির্বাহী পর্ষদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাপ ইতিমধ্যেই ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে যা অর্থনৈতিক মন্দাকে আরও দীর্ঘায়ীত করবে। অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির মতো বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং কাঙ্খিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, টেকসই রফতানি, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পর রক্ষণাবেক্ষন, বৈদেশিক মূদ্রার সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য আটকে থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের তাদের কর্মস্থলে ফেরত পাঠানো এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানো অন্যতম। এছাড়াও, টেকসই প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং সরবরাহ চেইনকে কার্যকরী ও ব্যায়সাশ্রয়ী রাখতে এমএসএমইগুলি (ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ) সংরক্ষণ করা খুবই জরুরী।

মহামারীটি একটি বিশাল অর্থনৈতিক সংকোচনের সৃষ্টি করেছে যার ফলে বিশ্বের বহু অঞ্চলে আর্থিক সংকট দেখা দেবে, কারণ নন-পারফর্মিং কর্পোরেট ঋণের কারনে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। উন্নয়নশীল বিশ্বে ংড়াবৎবরমহ ফবভধঁষঃং বেড়ে যেতে পারে। এই সঙ্কট সর্বশেষ সঙ্কটের মতোই পথ অনুসরণ করবে এবং সম্পদশালী দেশগুলোর চেয়ে নিম্ন-আয়ের দেশগুলিকে এবং নি¤œ আয়ের পরিবারগুলিকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

ডব্লিউ.এইচ.ও, আই.এম.এফ, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে জি -২০দেশসমূহ মহামারীকে কাটিয়ে উঠতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স (আইসিসি) এ স্টেকহোল্ডারদের অনেকের সাথেই বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা হিসাবে সহযোগিতা করছে।

আইসিসিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রচারের অংশ হিসাবে আইসিসি হেডকোয়ার্টারর্ সরকারগুলোকে এই মর্মে উদ্বুদ্ধকরণের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে যাতে করে ক্সুদ্র ও মাঝারী শিল্প এবং তাদের কর্মীদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে স্টিমুলাস এফোর্টগুলো প্রত্যক্ষ এবং তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত প্রকৃত অর্থনীতির দিকে প্রবাহিত হয়। সরবরাহ চেইনের আন্ত:সীমান্ত প্রকৃতি অনুযায়ী এ জাতীয় প্রণোদনা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই সমন্বয় রেখে করতে হবে। বিশ্বজুড়ে দেশগুলো ঈঙঠওউ-১৯ মহামারীর কারনে তাদের অর্থনীতিকে সহায়তা করার জন্য জরুরী ব্যবস্থাসহ অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতি উদ্দীপনা বাস্তবায়ন করছে। এই ক্ষেত্রে, আইসিসি সংকটকালীন সময়ে”ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের সংরক্ষনের জন্য বেশকিছু কর প্রণোদনা প্রদান এবং নগদ প্রবাহের ধারা অক্ষুন্ন রাখার উপর জোর দিয়েছে।

কাউন্সিল ২০১৯ সালের অডিটর রিপোর্টকে অনুমোদন দিয়েছে এবং ২০২০ সালের জন্য অডিটর নিয়োগ দিয়েছে।

বার্ষিক কাউন্সিলে আইসিসি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজনেস আইকন লতিফুর রহমান; আইসিসি বাংলাদেশের নির্বাহী বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য ওয়ালিউর রহমান ভূঁইয়া, ওবিই; বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক; অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহীর স্ত্রী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মিসেস নীলুফার মনজুর; জাতীয় অধ্যাপক ডঃ জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সহ একাধিক ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আল্লাহ তাদেরকে বেহেস্তের চিরশান্তি প্রদান করুক দোয়া করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে একটি কোম্পানি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১ কোম্পানি আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে । কোম্পানিটি হল অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, অগ্নি সিস্টেমস জেড ক্যাটাগরির হওয়ার কারণে কোম্পানির স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষ হবে আগামী রবিবার (২০ ডিসেম্বর)। এই কোম্পানিটির রেকর্ড তারিখ আগামী সোমবার (২১ ডিসেম্বর)।

রেকর্ড ডেটের কারণে ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি .কম/এম

ফাস ফাইন্যান্সের ৩য় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ফাস ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এই প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ, ২০) কোম্পানি শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ২.৬৬ টাকাা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.০১ টাকা।

৯ মাসে (জানুয়ারী-সেপ্টেম্বর) কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৮.৫৪ টাকাা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.১৫ টাকা।

এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের দায় মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬.৬১ টাকা। যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ছিল ১.৯৩ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম