দুই ব্রোকার হাউজকে সতর্ক বার্তা প্রদান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে দুইটি ব্রোকারেজ হাউজকে সতর্ক করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এতথ্য জানা যায়।

বিএসইসি এর মাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজ গুলো হল- ইমতিয়াজ হোসাইন সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

ভবিষ্যতে সকল সিকিউরিটিজ সম্পর্কিত আইনসমূহ মেনে চলার জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

 

ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ৮ জুন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ৮ জুন আহবান করা হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় বিমাটির ২০২১ সালের ১ম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৩মিনিট রাজধানীতে বিমাটির নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিমাটির ১ম প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ৯ জুন আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিমাটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় এজিএমের দিন ও রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বিমাটি। গত বছর বিমাটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

একইদিনে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ বা তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বিমাটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত ২০ মে শেয়ার দর ছিল ৬০.৩০ টাকা। আর আজ ২ জুন সর্বশেষ শেয়ারটি ৮৩.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

বিমাটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন মোট ৯৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৪৩টি শেয়ার লেনদেন হয়।

দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার।

তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে লংকা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৪৯ কোটি, রূপালি ইন্স্যুরেন্সের ৪১ কোটি ১১ লাখ, বিডি ফাইন্যান্সের ৪০ কোটি ৯৫ লাখ, এবি ব্যাংকের ৩৯ কোটি ৩৩ লাখ, ইফাদ অটোসের ৩৮ কোটি ৭৯ লাখ, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্সের ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

 

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. ডাচ বাংলা ব্যাংক
  3. লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
  4. গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স
  5. রূপালি ইন্স্যুরেন্স
  6. বিডি ফাইন্যান্স
  7. এবি ব্যাংক
  8. ইফাদ অটোস
  9. নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স
  10. গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬০১৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৮৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১.৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২১৯৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২৮৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৯০৩ কোটি ৫২লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৪১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৬৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৬টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫৭টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, ডাচ বাংলা ব্যাংক, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, রূপালি ইন্স্যুরেন্স, বিডি ফাইন্যান্স, এবি ব্যাংক, ইফাদ অটোস, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৭৩.২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৪৪৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ১১৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে লংকা বাংলা ফাইন্যান্স ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

আসন্ন বাজেটে কর ছাড় পাচ্ছে যে সব খাত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারে আসন্ন বাজেটে বিনিয়োগকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। করোনাকালে পুরোনো শিল্পকে টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি নতুন শিল্প স্থাপনে নানা কর ছাড় দেয়া হবে।

শুধু শিল্প খাতে নয়, স্বাস্থ্য খাতেও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

করপোরেট কর কমছে : গত বছরের ধারাবাহিকতায় আগামী বাজেটেও করপোরেট করে ছাড় দেয়া হচ্ছে। তবে ঢালাওভাবে সব খাতে নয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত শিল্পের কর কমানো হচ্ছে। অপরিবর্তিত থাকছে মার্চেন্ট ব্যাংক; সিগারেট, জর্দা ও গুলসহ তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি এবং তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত মোবাইল কোম্পানির কর হার।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি করপোরেট কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ এবং তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর সাড়ে ৩২ থেকে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে।

ন্যূনতম কর কমছে : পাইকারি ব্যবসায়ী, পণ্য পরিবেশক, ব্যক্তি মালিকানাধীন (প্রপাইটারশিপ) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেনের ওপর ন্যূনতম আয়কর কমানো হচ্ছে। বর্তমানে ৩ কোটি টাকার বেশি টার্নওভার হলে লাভ বা ক্ষতি যাই হোক দশমিক ৫০ শতাংশ হারে ন্যূনতম কর দিতে হয়।

আগামী বাজেটে করহার কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত নতুন শিল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদন শুরুর পরবর্তী প্রথম ৩ বছর ন্যূনতম কর হার দশমিক ১০ শতাংশ থাকছে। তবে মোবাইল অপারেটরদের লাভ-ক্ষতি নির্বিশেষে টার্নওভারের ওপর ২ শতাংশ এবং তামাক প্রস্তুতকারক কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর হার এক শতাংশ বহাল থাকছে।

একক মালিকানাধীন কোম্পানিকে কর ছাড় : এক ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানিকে উৎসাহিত করতে বাজেটে ‘বিশেষ’ কর ছাড় দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কোম্পানি আইনের অধীনে গঠিত কোম্পানিকে সাড়ে ৩২ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হয়। আগামী অর্থবছরে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন কোম্পানির কর ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে।

এসি-ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি : এসি উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত এবং ফ্রিজের ক্ষেত্রে অব্যাহতির মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি ১৬শ সিসি পর্যন্ত গাড়ি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া পলিপ্রোপাইলিন স্ট্যাপল ফাইবার, মোবাইল ফোন এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি : তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিল্পের বিকাশে প্রিন্টার, টোনার কার্টিজ, ইনকজেট কার্টিজ, কম্পিউটার প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, এআইও, ডেস্কটপ, নোটবুক, নেটপ্যাড, ট্যাব, সার্ভার, কিবোর্ড, মাউস, বারকোড ও কিউআর কোড স্ক্যানার, পিসিবিএ/মাদারবোর্ড, পাওয়ার ব্যাংক, রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ, মডেম, নেটওয়ার্ক ডিভাইস/ হাব, স্পিকার, সাউন্ড সিস্টেম, ইয়ারফোন, হেডফোন, এসএসডি/পোর্টেবল এসএসডি, হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, পেনড্রাইভ, মাইক্রো এসডি কার্ড, ফ্ল্যাশ মেমোরি কার্ড, সিসিটিভি, মনিটর, প্রজেক্টর, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড, ই-রাইটিং প্যাড, ইউএসবি ক্যাবল, ডিজিটাল ঘড়ি, বিভিন্ন প্রকাশ লোডেড পিসিবি উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে।

হোম অ্যাপ্লায়েন্সে ভ্যাট অব্যাহতি : হোম অ্যাপ্লায়েন্সসামগ্রী উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে আগামী ২ বছরের জন্য ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেকট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার ও প্রেসার কুকার দেশে উৎপাদন করলে উপকরণ-যন্ত্রাংশ আমদানিতে ভ্যাট দেয়া লাগবে না।

আগাম কর কমছে : কমপ্লায়েন্স বাড়াতে নতুন ভ্যাট আইনে আগাম কর প্রথা চালু করা হয়। বাজেটে ভ্যাট আইন আরও ব্যবসাবান্ধব ও যুগোপযোগী করতে আমদানি পর্যায়ে আগাম কর (এটি) হার কমানো হচ্ছে। এটি ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া রিফান্ড জটিলতার কারণে কয়েকটি শিল্পকে আগাম কর থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। যেমন স্ক্র্যাপ ভেসেল; স্টিল শিল্পের ওয়েস্ট ও স্ক্র্যাপ, ফেরো অ্যালয়, স্পঞ্জ আয়রন; পিভিসি ও পেট রেজিন উৎপাদনে ব্যবহৃত ইথাইলিন গ্লাইকল, টেরেফথালিক অ্যাসিড, ইথাইলিন/প্রোপাইলিন আমদানি এবং উপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত কাজু বাদাম আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার হচ্ছে।

জরিমানা-সরল সুদ কমছে : ভ্যাট ফাঁকির জরিমানা ও সরল সুদ হার দুটোই কমানো হচ্ছে। বর্তমানে ভ্যাট ফাঁকির ক্ষেত্রে ফাঁকি দেয়া ভ্যাটের দ্বিগুণ জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এটি কমিয়ে ফাঁকির সমপরিমাণ জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। এছাড়া সময়মতো ভ্যাট না দেয়ায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে সরল সুদের বিধান রয়েছে। এটি বাজেটে এক শতাংশ করা হচ্ছে।

হিজড়াদের চাকরি দিলে কর ছাড় : হিজড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় আনতে বাজেটে কর ছাড় দেয়া হচ্ছে। আগামীতে কোনো প্রতিষ্ঠান বছরের পুরো সময় মোট জনবলের ১০ শতাংশ বা ১০০ জনের বেশি হিজড়াকে চাকরি দিলে প্রদেয় করের ৫ শতাংশ রেয়াত পাবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সরকার প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সুবিধা দিয়েছিল।

হাসপাতাল নির্মাণে কর ছাড় : করোনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাজেটে বিশেষায়িত ও সাধারণ হাসপাতাল নির্মাণে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বিভাগীয় শহর ব্যতীত অন্য জেলায় ২০০ শয্যবিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং আড়াইশ শয্যবিশিষ্ট সাধারণ হাসপাতাল নির্মাণ করলে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা পাওয়া যাবে।

আইটি খাতে কর ছাড় : ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইটি খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বিদ্যমান ২২টির পাশাপাশি আরও নতুন ৫টি সেবাকে করের বাইরে রাখা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ক্লাডউ সার্ভিস, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই লার্নিং প্ল্যাটফরম, ই বুক পাবলিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস এবং ফ্রিল্যান্সিং।

নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ ছাড় : অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক (টার্নওভার) লেনদেনে বিশেষ কর ছাড় থাকছে বাজেটে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বার্ষিক ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত। বাজেটে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য টার্নওভারের সীমা ৭০ লাখ টাকা করা হচ্ছে।

কৃষি আধুনিকায়নকরণে উদ্যোগ থাকছে : কৃষি আধুনিকায়নকরণের লক্ষ্যে কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে থ্রেসার মেশিন, পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন হারভেস্টর, রোটারি টিলার, উইডার (নিড়ানি) ও উইনোয়ার (ঝাড়াইকল)।

রপ্তানি খাতে তহবিল আছে, কর ছাড় নেই : সবুজ শিল্পায়নকে উৎসাহিত করতে ‘গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড ফর এক্সপোর্ট’ তহবিলে আরও ২০ কোটি ডলার দেয়া হচ্ছে। ২০১৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০ কোটি ডলার দিয়ে প্রথমে যাত্রা শুরু করে। পরে আরও ২০ কোটি ইউরো ফান্ডে যুক্ত করা হয়। অবশ্য বাজেটে রপ্তানি খাতে সব ধরনের কর অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের চলতি অর্থবছরের মতো করপোরেট কর, রপ্তানি আয়ে উৎসে কর ও নগদ প্রণোদনায় উৎসে কর দিতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানি করাও সম্ভব : বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানি করাও সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১৯৯৬ সাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। দিন দিন সেখানে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার সেখানে চা উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে।

বুধবার (০২ জুন) সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত জুম প্লাটফর্মে প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চা’র বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানি করা সম্ভব।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখ ৪ জুনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিকাকে বিবেচনায় নিয়ে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ২০ জুলাই ২০২০ তারিখ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এদিন বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সে মোতাবেক আগামী ৪ জুন ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধন করা হবে এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দিনব্যাপী চা প্রদর্শন করা হবে। চা প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলের টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হবে।

টিপু মুনশি বলেন, একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি পণ্য ছিল। দেশে চায়ের উৎপাদন অনেক বেড়েছে, একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চা তেমন রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। একসময় চা খেতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হলেও আজ গ্রামের মানুষও চা পান করতে অভ্যস্ত। ফলে চায়ের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭০ সালে যেখানে চায়ের উৎপাদন ছিল মাত্র ৩১.৩৮ মিলিয়ন কেজি, সেখানে ২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি এবং ২০২০ সালে ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। ২০২০ সালে ১৯টি দেশে ২.১৯ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। সূত্র : জাগো নিউজ

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আশুগঞ্জ পাওয়ারের বাৎসরিক ট্রাষ্টি সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কর্পোরেট বন্ড খাতের প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড নন-কনভার্টেবল ফুললি রেডিমেবল কুপন বেয়ারিং বন্ড লিমিটেডের বাৎসরিক ট্রাষ্টি সভা আগামী ১০ জুন আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৩টায় রাজধানীর বিজয় নগরে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে ট্রাষ্টি সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ সালের অর্ধবার্ষীকী নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ ট্রাষ্টি সভায় এজিএমের দিন ও রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে।

এ ট্রাষ্টি সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি। গত বছর কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা